বর্তমান সময়ে ক্ষমতাসীন পদে রয়েছে আওয়ামীলীগ দল। টানা তিন মেয়াদে দলটি ক্ষমতায় রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকায় এই দলের অনেক নেতাকর্মীরাই পদ-পদবি সহ নানা বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যেই একে-অন্যের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়ছে। এবং দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করছে। এরই লক্ষ্যে দল কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সম্প্রতি এক বক্তব্যকে ঘিরে বির্তকে জড়িয়ে পড়েছেন কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী। এমনি তাকে গ্রেফ/তার করেছে প্রশাসন। এছাড়াও এবার তিনি নিতুন করে পেলেন আরেকটি দুসংবাদ।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে আ/প/ত্তি/কর মন্তব্য করে একে একে সব হারিয়েছেন কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী। বুধবার (১ ডিসেম্বর) র্যাবের হাতে আ/ট/কও হয়েছেন তিনি। আজ-কালের মধ্যে সর্বশেষ মেয়র পদটিও হারাতে বসেছেন বিতর্কিত এ মেয়র। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল জলিল। তিনি বলেন, ২৫ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) মধ্যরাতে আমার ডাক বাংলোতে কাটাখালী পৌরসভার ১২ কাউন্সিলর স্বাক্ষরিত অনাস্থাপত্র ও পৌরসভার রেজুলেশনের কাগজাদি গ্রহণ করি। এরপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বিধিবদ্ধ আইনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই অনাস্থাপত্রের বিপরীতে একটি প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গত রোববার (২৮ নভেম্বর) পাঠিয়েছি। তার পদ থেকে অব্যাহতি পত্র এখনও হাতে পাইনি। হয়ত আজ (বৃহস্পতিবার) অথবা আগামী রোববারের (৫ ডিসেম্বর) মধ্যে পেয়ে যাবো।
জেলা প্রশাসক বলেন, যতদূর শুনেছি সেই ফাইল উঠেছে এবং তার সাসপেনশন অর্ডারও হয়েছে। এখন শুধু হাতে পাওয়ার অপেক্ষা। অর্ডারটি হাতে পেলেই পরবর্তী ধাপ অনুযায়ী পেনেল মেয়রকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, যেহেতু তিনি (আব্বাস) ফৌজদারি মামলায় গ্রে/ফ/তা/র হয়েছেন সেহেতু এখন তার পদে থাকার কোনো সুযোগই নেই। তিনি বলেন, কোনো ফৌজদারি মামলার অপরাধে কেউ যদি গ্রে/ফ/তা/র হয় এবং তার বিরুদ্ধে যদি চার্জশিট হয়। তাহলে তো তার আর এ পদে থাকার যোগ্যতা থাকে না। চার্জশিট গ্রহণ হলেই সে পদ হারাবে। কাজেই সে পদ হারাবে, এটা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। দুদিনও লাগতে পারে অথবা আজকেও হয়ে যেতে পারে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল জলিল।
মূলত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মেয়র আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে ২৩ নভেম্বর রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বোয়ালিয়া থানায় একটি মা/ম/লা দায়ের করা হয়। মামলাটি করেন রাসিক ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মোমিন। পু/লি/শ সদর দপ্তরকে মামলার বিষয়টি জানানো হয়। সেখান থেকে ২৪ নভেম্বর অনুমোদনের পর মামলাটি গ্রহণ করা হয়। ১ ডিসেম্বর র্যা/বে/র হাতে ঢাকার রাজমনি ইশা খাঁ হোটেল থেকে তাকে গ্রে/ফ/তার করা হয়। পরে ওই দিন রাতেই বোয়ালিয়া মডেল থানা পু/লি/শে/র কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে আজ (বৃহস্পতিবার) তাকে রাজশাহীতে নিয়ে এসে কা/রা/গা/রে পাঠানো হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্তের দায়িত্বে আছেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাবুল আলম।
আওয়ামীলীগ দলের কেণ্দ্রীয় নেতাকর্মীরা দলের বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর সর্তকবার্তা দিয়েছে। এমনকি জানিয়েছে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। এমনকি ইতিমধ্যে এমন শাস্তির সম্মুখীন পড়েছে অনেক নেতা। এছাড়াও দলটি এমন বিরোধী নেতাদের তালিকা করছে বলে এমনটা জানিয়েছে।