গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হওয়ার পর থেকেই হাসপাতালে ভর্তি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা ও মীরাক্কেল খ্যাত তারকা আবু হেনা রনি। তার অসুস্থতার খবরে প্রায় প্রতিদিনই হাসপাতালে ভিড় করছেন তার অগণিত ভক্ত-শুভাকাঙ্খী।
রনি ও পুলিশ কনস্টেবল জিল্লুরের শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে। আজ (২১ সেপ্টেম্বর) তাদের রেডিওলজি পরীক্ষা এবং বেশ কিছু রক্ত পরীক্ষা করানো হয়। তাদের মানসিকভাবে সবল ও শক্ত রাখতে, তাদের পত্রিকা ও মোবাইল সরবরাহ করা হচ্ছে না।
রনি আগের চেয়ে ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। স্বাভাবিকভাবে খাওয়া এবং কথা বলা। তবে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার জন্য তাদের অন্তত আরও ৩ সপ্তাহ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে।
বরেণ্য কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি ও কনস্টেবল মোঃ জিল্লুর রহমান শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
বুধবার বিকেলে ইনস্টিটিউটের এইচডিইউ বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের দেখা-সাক্ষাৎও সীমিত করা হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসকরাও কথা বলতে নারাজ।
পরে যোগাযোগ করা হলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন চিকিৎসক এসএম আইয়ুব হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনি ও কনস্টেবল জিল্লুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিতে বোর্ড সদস্যরা আজ বৈঠক করেছেন। তারা গতকালের চেয়ে ভালো আছে। আজ তাদের রেডিওলজি পরীক্ষা করানো হয়েছে। রক্ত পরীক্ষা করা হয়।
তিনি বলেন, শুরুতে রনি ও কনস্টেবল জিল্লুরের শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ার আমরা ভয় পেয়েছিলাম। ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের আগে কিছু বলা সম্ভব হয়নি। তবে এখন দুজনেই আশঙ্কা থেকে মুক্ত। আর ভয় নেই। শ্বাসনালীর ক্ষত উন্নতি হচ্ছে। আশা করি, শীঘ্রই আরও উন্নতি হবে।
তবে ট্রমা তৈরি আশঙ্কার কথা জানিয়ে ডাক্তার আইয়ুব বলেন, যেকোনো বার্ন রোগীর মধ্যে ট্রমা তৈরি হতে পারে। আর রনি তো দেশের সম্পদ। অনেক মানুষ তার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। তার স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনায় অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। টিভি, পত্রিকা কিংবা মোবাইলে কিছু দেখে তারা যেন আতঙ্কিত না হন, ট্রমায় না ভোগেন সেজন্য এসব থেকে তাদের দূরে রাখা হয়েছে। তাদের মানসিক অবস্থা এখন অনেক ভালো।এমনকি নিকটাত্মীয়দের সাক্ষাতেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
এদিকে এর আগে আবু হেনা রনি ও পুলিশ কর্মকর্তা জিল্লুর রহমানকে দেখতে হাসপাতালে জান পুলিশ প্রধান (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। এ সময়ে তাদের সাকিব চিকিৎসার আশ্বাস দেন তিনি।