প্রতি পাঁচ বছর অন্তর অন্তর বাংলাদেশের সরকার গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এবং এই নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে নির্বাচন কমিশন। তবে সম্প্রতি এই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। এবং নতুন ইসি গঠনে চলছে বেশ আলোচনা-সমালোচনা। এরই সূত্র ধরে ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে বেশ কিছু পরামর্শ দিল জাপা।
একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য, শক্তিশালী ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে আজ শুরু হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কাঙ্ক্ষিত সংলাপ। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আজ সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে বিকাল ৪টায় আলোচনায় বসছেন সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সাথে। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে সংলাপের প্রস্তুতি নিয়ে রোববার (১৯ ডিসেম্বর) পর্যন্ত জাতীয় পার্টির নেতাদের নিজেদের মধ্যে কোনো বৈঠক করেননি বলে দলটির নেতারা বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। আজ বঙ্গভবনে যাওয়ার আগে বৈঠক হতে পারে বলেও জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
এ বিষয়ে জাপার কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ রোববার (১৯ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে বলেন, দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের নেতৃত্বে বিকাল ৪টায় বঙ্গভবনে যাবেন তারা। জাতীয় পার্টির ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- জি এম কাদের, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, মুজিবুল হক চুন্নু, সালমা ইসলাম, মশিউর রহমান রাঙ্গা ও আবু হোসেন বাবলা। জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের পরামর্শ দেবে দলটি। এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘বসে আলোচনা করে এটা সঠিক একটা আইনে পরিণত করা উচিত। বাংলাদেশের অনেক সংস্থা রয়েছে- যেগুলোর আইন থাকা উচিত।’
এছাড়া জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘ইসি গঠনে জাপার মতামত নেওয়ার বিষয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু ইসি গঠনে আইন করা হবে কি না, সেটাও স্পষ্ট নয়। ফলে আগে থেকে কোনো প্রস্তাব নিয়ে যাওয়ার সুযোগ কম। রাষ্ট্রপতি যেসব বিষয়ে জানতে চাইবেন, তারা সেসব বিষয়ে মতামত দেবেন।’ তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় স্বাধীন, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন প্রণয়ন করা আমাদের প্রধান দাবি থাকবে। বাকি আরও কিছু প্রস্তাবনা থাকবে। কিন্তু আইন করার বিষয়টিকে আমরা প্রাধান্য দেব।’
বর্তমান সময়ে নির্বাচন কমিশনে এদায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যপক ভোট কারচুপি ও জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে নির্বাচন কমিশন এবং তারা জানিয়েছে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে অভিযোগের ভিত্তিতে এবারের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে দেশ রাজনৈতিক দল গুলো বেহস কিছু পরামর্শ দিয়েছে।