অধিকাংশ মানুষ অর্থ সঞ্চয় করার জন্য বিভিন্ন ব্যাংক ব্যবহার করে থাকে। তবে এসকল ব্যাংকে চলে নানা ধরনের বেআইনি কালো টাকা লেনদেন তাই তো ব্যাংক নতুন নিয়ন তৈরি করেছে। জানা গেছে কারো ব্যাংকে যদি ৫ লাখ টাকার বেশি থাকে তাকে দিতে হবে রির্টান সনদ।
অর্থাৎ সঞ্চয় বন্ডে 5 লক্ষ টাকার বেশি বিনিয়োগ করতে, এখন থেকে আপনাকে গত বছরের আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দেখাতে হবে। এছাড়াও, ডাক সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য অর্থ ফেরত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
গত ২৫ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ ব্যবস্থাপনা বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে দেশে কর্মরত সকলকে। | বাণিজ্যিক ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর এবং সরকারি গেজেট অনুসারে, ব্যাংকগুলিকে সঞ্চয়পত্র এবং পোস্ট অফিস হিসাবে 5 লক্ষ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থ আইন 2022 এর ধারা 48 এর যথাযথ সম্মতির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সঞ্চয় ব্যাংক. কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে ব্যক্তি যদি সঞ্চয়পত্রে পাঁচ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করতে চান বা পোস্টাল সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে চান, | তবে গত বছরের আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দেখাতে হবে।
তার মানে সরকার মনে করে আপনার আয় করযোগ্য আয় সীমার মধ্যে। একইভাবে, আপনার যদি একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকে, তবে, যদি ক্রেডিট ব্যালেন্স 10 লাখ টাকার বেশি হয়, তবে জমার ব্যাঙ্ক রিটার্ন সার্টিফিকেট অবশ্যই সরবরাহ করতে হবে। একই জিনিস ঘটবে পাঁচলক্ষ টাকার বেশি ব্যাঙ্ক লোনের জন্য আবেদন করতে বা ক্রেডিট কার্ড নিতে।
অর্থাৎ আয়ের বিবরণী উপস্থাপন না করে আপনি কিছু করতে পারবেন না, পারছেন না ব্যক্তিগত আয়কর সংগ্রহ বাড়ানোর লক্ষ্যে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্ন উপস্থাপনের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। এই আগের অনেক ক্ষেত্রে, শুধুমাত্র ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন সার্টিফিকেট) উপস্থাপনের প্রয়োজন ছিল। এখন থেকে, অর্থপ্রদানের স্লিপটি প্রতিষ্ঠিত করে যে ফেরতের উপস্থাপনা অবশ্যই স্বীকৃত হতে হবে।
এই নিয়ম সম্পূর্ন ভাবে বাস্তবায়ন হলে বেআইনি কালো টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন কমে যাবে। কারন প্রতিটা ট্রাজেসনের হিসাব থাকবে। কালো টকা ব্যাংকে থাকলে তা সনাক্ত করতে সহজ হবে বলে ধারনা করছে বিশ্লেসকেরা।