Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ধোলাই খাবার ভয়ে তারা এখনও সে সাহস করেনি:মুনতাসীর মামুন

ধোলাই খাবার ভয়ে তারা এখনও সে সাহস করেনি:মুনতাসীর মামুন

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের এক আবেগের নাম। বাংলাদেশীদের প্রয়োজনীয়তার আরেক নাম পদ্মা সেতু। পার্কে সিকাপ প্রকল্পকে যেভাবে দেখা যায়, পদ্মা সেতু বাংলাদেশিদের কাছে সেরকম, যা অর্থনীতিকে পরিবর্তন করে।

এ বিষয়ে মুনতাসীর মামুন তার এক পোষ্টে লেখেন, পুনম মুখার্জি ও মৃদুল হক এক তরুণ দম্পতি। শিক্ষকতা এবং গবেষণার সাথে যুক্ত। কলকাতায় থাকেন। পুনম আমাদের গণহত্যার আর্কাইভ এবং জাদুঘরের আর্কাইভকে সমৃদ্ধ করতে কাজ করছে। যেদিন পদ্মা সেতু চালু হয় (২৫ জুন) সে ​​আমাকে ফোনে বলেছিল, আজ তোর ওখানে ঈদ, তাই না?

আমি বললাম, ঈদ তো রুটিন ব্যাপার। আজ ঈদের চেয়ে বেশি। এমন ঢেউ গত দশ ঈদে দেখা যায়নি। পুনম বলেন, ভারতীয় সংবাদপত্রও খবর এড়াতে পারেনি।

আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু সবার মনে একটা চাপা বেদনাও আছে। শেখ হাসিনা সব দিচ্ছেন কিন্তু সাংস্কৃতিক জিডিপি বাড়ছে না। দুর্নীতির মতো অজ্ঞতা ও কুসংস্কার বাড়ছে। দুর্নীতিবাজ, কালোবাজারি, ঋণখেলাপিদের দেওয়া হচ্ছে সব সুবিধা, শিক্ষার মান দ্রুত অবনতি হচ্ছে [দেখুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল। 10 শতাংশও পাস করেনি]

কয়েকদিন আগে এক সংবাদ মাধ্যমকে-এ আমার একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছিল। আমাদের যুগের পাকিস্তানিরা বা আমাদের আগের প্রজন্ম বাঙালিদের সম্পর্কে কী ভাবত তার বর্ণনা ছিল। পুনম এটা পড়ে আমাকে বললেন, পাকিস্তানের তরুণরা বাংলাদেশ নিয়ে কী ভাবছে জানেন? আমি বলেছি না. পুনম বললেন, তোমাকে কিছু ভিডিও পাঠাচ্ছি। বলছেন, একগুচ্ছ ভিডিও পাঠিয়েছেন।

পুনম পাকিস্তানের ইউটিউব চ্যানেল পাঠিয়েছেন যেগুলো তরুণদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। তাদের বয়স পঁয়ত্রিশের বেশি নয়। তাদের কথোপকথন শুনে বোঝা গেল তাদের কাঁধে একাত্তরের ভার নেই বা তারা একাত্তর সম্পর্কে তেমন কিছু জানে না। অথবা তারা জানলেও তাদের নিয়ে মাথা ঘামাতে চায় না কারণ এটা গর্ব করার মতো কিছু নয়। এর তবে পদ্মা সেতু নিয়ে মন্তব্য করে কেউ কেউ বারবার মনে করিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশ এক সময় পাকিস্তানের সঙ্গে ছিল। পাকিস্তানের অংশ ছিল। এখন সেটা ভিন্ন বিষয়।

যে দৃশ্যটি আমাকে অবাক করেছিল তা হল কয়েকটি নিউজ চ্যানেলের অ্যাঙ্করদের পরা টি-শার্টে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পতাকার ছাপ। পাকিস্তানি পতাকা লেখা টি-শার্ট পরে হিজাবিরা হয়তো এখানে ঘুরে বেড়াতে চায়। তবুও তারা সাহস পায়নি। ব্লিচিং খাবারের ভয়। পাকিস্তানি তরুণরা বিষয়টি কাটিয়ে উঠতে চায়। তরুণ অ্যাঙ্কররা খুব উৎফুল্ল। যাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে তারাও স্মার্ট, আধুনিক। উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে-পরে খবরে খবর আছে।

একটি ভিডিওতে দুই যুবককে পদ্মা সেতুর খবর দেখাচ্ছেন। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে সেতুর নির্মাণকাজ দেখা গেছে। দুজনেই গানের তালে মাথা নাড়ছে। তরুণী একটু মন খারাপ করে। পাকিস্তানে নয়, বাংলাদেশে এমন ঘটনা ঘটেছে বলেই তার মনে হয়। তরুণ নোঙ্গর বারবার সেতুর দৈর্ঘ্য বলেছেন। নদী সাগরের মতো নয়। তার উপর এই সেতু। পরিশ্রমের কী সাক্ষ্য! কি একটি আকর্ষক নকশা! কি অপূর্ব রাতের সেতু দেখতে হবে। কঠোর পরিশ্রমে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এমন দেশে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।

আরেকটি চ্যানেলের খবরে বলা হয়, পদ্মা সেতুর খবরও পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে। বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনা ওয়াজেদের আস্থা ও দূরদর্শিতার ফসল পদ্মা সেতু সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করেছে। এ প্রেক্ষাপটে অনেকেই বিশ্বব্যাংকসহ পশ্চিমা ব্যাংকগুলোর ঋণ দিতে অস্বীকৃতি এবং কানাডার আদালতে মামলার কথাও বলছেন। অ্যাঙ্কর বারবার বলেছেন, গত দশ বছরে বাংলাদেশ বারবার তার সামর্থ্য অর্জনের যোগ্যতা দেখিয়েছে।

অন্য চ্যানেলের অ্যাঙ্কর, হাস্যোজ্জ্বল তরুণ। তার টি-শার্টে বাংলাদেশের পতাকার ছাপ। সড়কে পদ্মা সেতুর ছবি তুলে পার্কে তরুণ-তরুণীদের জিজ্ঞাসা। সবার আগে ছবি দেখিয়ে দেশ জানতে চান। কেউ উত্তর দিতে না পারলে এটা বাংলাদেশের পদ্মা সেতু। এরপর পদ্মা সেতু নিয়ে তাদের মতামত জানতে চান। অনেকে আবার ছবি দেখে বলছেন, এই পদ্মা সেতু, তারা ইন্টারনেটে এই ছবি দেখেছেন। এটা পদ্মা সেতু জেনে এক তরুণী বললেন-
* আসলেই কি বাংলাদেশী? হলে ভালো হয়। মানতে হবে, বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ভারত যখন প্রথম ভাগ হয়েছিল তখন বাংলাদেশ আমাদের অংশ ছিল। পরে বাংলাদেশ আলাদা হয়ে যায়। কারণ তারা নিজেদের একটা আলাদা পরিচয় তৈরি করতে চেয়েছিল, একটা আলাদা সত্তা তৈরি করতে চেয়েছিল যেটা বাঙালি তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছিল এবং বাংলাদেশ সেটা করতে পেরেছিল।

নিঃসন্দেহে তারা আজ আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে। অনেকে বলছেন ভারত বাংলাদেশকে ভাগ করেছে এবং ভারত বাংলাদেশকে উন্নয়নে সাহায্য করছে কিন্তু তা ঠিক নয়। পাকিস্তান এখন পর্যন্ত কিছুই করেনি। বাংলাদেশ আমাদের থেকে আলাদা এবং তাদের প্রযুক্তি, মুদ্রা, শিক্ষা সব দিক থেকেই পাকিস্তানের চেয়ে অনেক এগিয়ে। আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থানের দিকে লক্ষ্য করলেই বিষয়টি বুঝতে পারবেন।

আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে, বাংলাদেশের মান কত? তাদের বিনিয়োগ নীতি খুবই ভালো তাই অনেক বিদেশী দেশ এখন বাংলাদেশের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। তাদের নেতৃত্ব অনেক ভালো। তারা যে নীতিমালা তৈরি করে, সেখানে দেখুন

এটা এশিয়ার তোমাকে মনে হচ্ছে না। এটা ইউরোপের। একজন বলতে, আমেরিকা বা কানাডার হতে পারে।

এক তরুণী কথা, এটা কোনো উন্নত দেশ। জাপান, চায়না, ইংল্যান্ডের হবে কোন ডেভেলপ কর্ত্রীর। কিন্তু এটা মনে হচ্ছে না। আর যদি হয় তো আর কি বলা যায়!

এক ছাত্রের, মাশাআল্লাহ এটা অনেক বড় অর্জন। খুব গুরুত্বপূর্ন। লিক কনস্ট্রাকসন, আর্কিটেকচার তো পশ্চিমের আন্তর্জাতিক ট্রেন্ড ছিল। এই অর্জন এখন পশ্চিম বিশ্বকে হিট করছে। অনেক ডেভেলপ হয়েছে। বাংলাদেশ একটা আইডিয়াল সোসাইটি তৈরি করছে। তারা আমাদের অংশ ছিল এখন এত ডেভেলপ করছে।

নাগরিক তরুণ বললেন, একজন সিভিল হিসাবে এর খোঁজ খবর আমার কাছে ছিল। পছন্দের মধ্যে এটা সবচেয়ে কমপ্লেক্স স্ট্রাকচার, যা চায়নার কো-অর্ডিনেশন এখন তৈরি হয়েছে। রাজনীতি উন্নয়নে এটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আর পাশের জন্য আমার পাশের দিকে, তার রোড-স্ট্রাক চারের দিকে নজর দেয় এবং এগিয়ে যায়।

সাংবাদিক ছাত্র, বর্তমানে বাংলাদেশ অর্থনীতি থেকে অনেক এগিয়ে। এটা জন্য অনেক বড় অর্জন। এটার মধ্যে সবচেয়ে কমপ্লেক্স স্ট্রচার আর ব্রিজের মধ্যে যে রেললাইন এবং বাসের সামনের রোডের জন্য বড় ফ্লাইও অর্জন করছে এবং এটাও কারণ তা ফলো করছে।

পাকিস্তানি প্রচার টিভি মিডিয়া টুডে সংবাদদাতার-
আজকে কথা পদ পদ্মা সেতু নিয়ে। মহামারীর ফলে সমগ্র বিশ্ব অর্থনীতি যখন খারাপ প্রভাব ফেলছে ঠিক ঠিক সময়ে বাংলাদেশ পদ্মা সেতু মেগা প্রকল্পের শেষ করার মতো কাজ করছে। পদ্মা সেতু জুনের ২৫ তারিখ হতে যাচ্ছে।

ইউরোপ এবং রাষ্ট্র যখন চাপের পদ পদ্মা সেতু যাতে না বানায় সেখানে শেখওয়াজিদ সব চাপাহ করে এগিয়ে যায়। শেখের কাছে পশ্চিমাদের দেখাতে চেয়েছিলেন যে তাদের সাহায্যে বাংলাদেশ মেগা প্রকল্প তৈরি করতে পারে। টানা অবস্থান সম্মান বিশ্ববাজারে ছড়িয়েছে। কোন দেশ এবং কোন বাধা বন্ধ করেছে তা এখানে দেখাবো।

তবে আগে এর সুবিধাবো- ৭০ লোক ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে ঢাকা থেকে যাতায়াত করতে, সময় দেখা যাবে এবং কৃষকদের মুনাফা হবে। দক্ষিণ-পূর্বের অংশের মনের অংশর জোয়ার হয়েছে। আমাজন পরে দ্বিতীয় খরস্রোতা নদী পদ্মা। যার স্রোত এত বেশি সে নয়। একশ বছর পদ পদে তার রূপ দেখা যাচ্ছে, যার ফলে সেতু নির্মাণ ছিল একটি বড় সংখ্যা।

২০১২ সালে বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ও জাইকার অর্থায়নে কাজ শুরু হওয়ার পরে তা হয়নি। ২০১২ সালে বিশ্বব্যাংকের কাছে যোগাযোগ বিশ্বব্যাংক ইউরোপীয় দেশসমূহের প্ররোচনায় পুলিশ দুর্নীতির অভিযোগ আরোপ করে। পরে কানাডিয়ান আদালতে প্রার্থীর মীমাংসা হয় যে পদ্মা সেতু নিয়ে শেখ কোনো দুর্নীতির বিপক্ষেনি। শেখের পরিচয়ের মোকাকে গত ২০১৪ সালের পরবর্তী পোস্টবিলা ছাড়া বাংলাদেশ পদ্মা সেতু স্থাপন করতে।

২০১৪ সালে কাজ শুরু হয়। পছন্দের কথাবার্তা বিশ্বব্যাংক আমার পছন্দের জন্য চাই। যখন বিশ্বব্যাংকের প্রধান ঢাকা সফর করেন তখন তিনি এই বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। এর সাথে পাকিস্তানি রাষ্ট্রও আফসোস বলেন, আমরা এই মেগা প্রকল্পের সাথে যুক্ত হতে না পারাটা দুঃখজনক।

কানাডার আদালতে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত স্ট্যাটাস পর বিশ্বব্যাক ও দাতা সংস্থাগুলোর অর্থ দাবি করতে সাহায্য করতে চাইলে অফারটি অন্য শেখের মতো সরকারকে নিজের অর্থায়নে সেতুর কাজ চালিয়ে যেতে বলেন। পরবর্তী অনুযায়ী ২০১৪ সালে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হয়। এখানে ক্ষমতা মনে করে পদ্মা সেতু বন্ধন সরকার করে। প্রকৃতপক্ষে কোম্পানিকে বাংলাদেশ সরকার এই সেতু নির্মাণের কাজ। সেতু তৈরির পুরো ৪ বিলিয়ন অর্থ জোগান দিতে বাংলাদেশ সরকার।

মাছে হামিদ মীর বিখ্যাত সাংবাদিক। তাঁর বাবাও প্রখ্যাত সাংবাদিকওয়ারেস মীর। এক ইউটিউবার জানাচ্ছেন, মীর এক টুইট করেছেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ৫০ বছর। সেখানে বিনিময়ের দাম ৯৩ টাকা। পাকিস্তান স্বাধীন হয়েছে ৭৫ বছর। এখানে ডলারের দাম ২০০ রূপির বেশি? বাংলাদেশ কথার চেয়ে এগিয়ে গেল। সেখানে মন্তব্য করুন। সঞ্চালক তার পড়া শোনা-

১. রাজনৈতিক মোল্লাদের রাস্তা পর্যন্ত আর থাকে ক্যান্টনমেন্টে। আদালত আইন সামনে। সেজন্য তরিক্কি করছে আর বাংলাদেশকে আইএমএফের পরীক্ষা করতে হবে।

২. তাদের শেখাকে দেওয়া হয়েছে যে ১১ নেতা (সাথী নয়) বিচার করে ফাঁসি (পাকিস্তানের কথা বলাই তিনি সমর্থনিক উত্তরপ্রবাসী) লেখক, কাকুলে প্রশিদের হট্টি পার্লামেকে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৩. মানুষজন ঠাট্টা লিখেছেন- রাজনীতি জাদারি ও নওয়াজ শরিফ নেই। তাই তরিক্কি হয়েছে।
৪. একজন লিখেছেন, প্রশ্নে তার সীমাবদ্ধতা দেওয়া হয়েছে তাই বাংলাদেশ এগিয়েছে।
৫. সেখানে ২৪ ঘণ্টা আছে, সোলার প্যানেলে সস্তা দেওয়া হয়েছে তাই সব কথা। এক কাম, এক জবান তাই উন্নত হচ্ছে।
৬. নারী সক্ষমতা হয়েছে। জেনারেলদের সাইড লাইনে রাখা হয়েছে।

স্বপক্ষে ইঙ্গিতের দুর্গের জন্য প্রধানদের কথা বলেছেন, যা কথা নয়। এক প্রবীণ বলেছেন, পাকিস্তানেদের জন্য জিডিপির ৫ ভাগ আর বাংলাদেশ।

 

About Nasimul Islam

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *