ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম, যা দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানর ঝড়টি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৩.৩০ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮১.১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত বিশেষ আবহাওয়া বিজ্ঞপ্তিতে (চৌদ্দ) এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম গত সোমবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৬২ কিমি/ঘন্টা, দমকা আকারে ৮৮ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের আশপাশে সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ধরনা করা হচ্ছে এই এই সপ্তাহর মধ্যে উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে চলাচলকারী সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এ বছর বাংলাদেশে এ পর্যন্ত তিনটি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। ১৪ মে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। ২৪ অক্টোবর রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। এরপর ১৭ নভেম্বর আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’।