দেশের এক সময়কার আলোচিত অভিনেত্রী সানাই মাহবুব এখন বিনোদন জগত থেকে অনেক দূরে। সমালোচিত এই মডেল বিনোদন জগতকে বিদায় জানিয়ে এখন ধর্মের পথ বেছে নিয়েছেন। তিনি তার ধর্মের পথে গিয়ে নিয়মিত নামাজ ও রোজা রাখছেন এবং মেনে চলছেন ধর্মীয় সকল নিয়ম, পরছেন বোরকা ও হিজাবও। কিন্তু ধর্মের পথে গিয়ে তিনি গত দেড় বছর পর অনেকটা হঠাৎ করে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে মামলা করার হুমকি দেন। কিন্তু এর পেছনে কারন কী?
সানাই মাহবুব অভিযোগ করেন, কিছু অসাধু ফে’সবুক ব্যবহারকারী তার আগের ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রা’ন্ত করছে। কিন্তু এখন তিনি পূর্ণ ইসলামের পথে আছেন। সানাই বলেন, অনেক আইডি থেকে তার আগের ভিডিও পোস্ট করে বিভ্রান্তি ছড়ানো আইনবিরো’ধী। এসবের বিরুদ্ধে তিনি আইনি পদক্ষেপ নিতে চান বলে উল্লেখ করেন।
লাইভে সানাই বলেন, ‘অনেক ফেসবুক গ্রুপ ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে আমার আগের লাইভ, গানসহ নানা কিছু প্রকাশ করা হচ্ছে। মানুষকে বিভ্রা’ন্ত করা হচ্ছে। আমি এখন ইসলামের পথে রয়েছি। এসব করা আইনের পরিপন্থী। আমার ভিডিও ব্যবহার করে, টাকা কামানোর এসব কাজ কিভাবে করতে পারেন আপনারা! তাই আমি আইনি পথে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পর্দানশীল নারী হিসেবে নিজেকে শক্তিশালী মনে করেন সানাই। তার ভাষ্য, শিগগিরই এসব চ্যানেল কিংবা গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা করব। একজন পর্দাশীল নারী যে কতটা পাওয়ারফুল হতে পারে তা আপনারা দেখবেন। আমি চাই আপনারা যারা এমন করছেন তারা এসব বন্ধ করুন। না হয় আমি আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।
উল্লেখ্য, সানাই মাহবুব বিনোদন জগতে এসেছিলেন নায়িকা হতে। কয়েকটি সিনেমা অভিনয় করার জন্য তিনি চুক্তিবদ্ধও হন। কিন্তু হঠাৎ করেই তার দেহের সৌন্দর্য বাড়াতে অস্ত্রোপচার করায় বিতর্কিত হয়ে পড়েন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি অপেশাদার ভিডিও পোস্ট করার জন্য তাকে আটকও করা হয়। তারপর ক্ষমা চাওয়ার মাধ্যমে ছাড় পান। গত জুলাই মাসের দিকে তিনি বিনোদন জগত ছেড়ে ইসলামী জীবনে ফিরে আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন।