ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক বর্তমান সময়ে একটি ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত ভারত সব সময় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। ভারত এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে কথা মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রম ও সাহসী পদক্ষেপের ফলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মৈত্রী, বন্ধুত্বের সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। ধীরে ধীরে এই সম্পর্ক আরও উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল কলকাতার বেঙ্গল ক্লাবে আয়োজিত ‘রাউন্ড টেবিল মিটিং’ শেষে নাছিম এ মন্তব্য করেন।
ভারত-বাংলাদেশ বিরোধী সম্পর্ক ইস্যুতে তিনি বলেন, “কারুর সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা বা শত্রুতা নেই। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। আমরা গভীর বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে চাই। বাংলাদেশের সেক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের গভীরতা কতটা নিচে সেটা বোধহয় মেপে শেষ করা যাবে না। আমরা বিশ্বাস করি সম্পর্ক দিন দিন আরও মজবুত হবে, আরও শক্তিশালী হবে, অসীম উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রম ও সাহসী পদক্ষেপের কারণে ভারত-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে।
তিনি আরও বলেন, এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে যে, সীমান্ত দিয়ে দুই বাংলার সম্পর্ক বাধাগ্রস্ত হতে পারে না। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, সৌরভ গাঙ্গুলীর ডাকে সমস্ত প্রোটকল ভেঙে কয়েক বছর আগে তিনি ইডেনের ভারত বাংলাদেশ গোলাপি টেস্টে খেলা দেখতে এসেছিলেন। তিনি একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়ে ভারতের অবদানের কথাও উল্লেখ করেন।
ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এই গোল টেবিলের অন্যান্য আলোচকদের মধ্যে ছিলেন সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি শিশির বাজোরিয়া, কলকাতায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, কলকাতার বিশিষ্ট সাংবাদিক দেবদীপ পুরোহিত।
বাংলাদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত পিকে হালদারকে ফিরিয়ে আনতে সরকার বা দলের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না, এ প্রসঙ্গে নাসিম বলেন, ‘যা হয়েছে, যা হচ্ছে তা ক্ষমতাসীন দলই পূরণ করছে। দলটি তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে যাচ্ছে।” অপেক্ষা করুন কি হয়! ধরা পড়েছে, আগামী দিনে আপনারা আরও কিছু দেখতে পারবেন।’
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ভারতের নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে আসার পর এদেশের একটি গোষ্ঠী সেটাকে নেতিবাচক দিকে পরিচালিত করার চেষ্টা করে। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সরকার সেই অপচেষ্টাকে সফল হতে দেয়নি। সমস্ত কিছু উপেক্ষা করে বাংলাদেশ এবং ভারতের সম্পর্ক সর্বদা সুসম্পর্ক হিসেবে বজায় রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যেটা প্রয়োজন বলে মনে করেন কূটনৈতিক নেতারা।