Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ধরা খেয়ে ঘুষের টাকা মুখে পুরে ফেললেন পুলিশ কর্মকর্তা (ভিডিও)

ধরা খেয়ে ঘুষের টাকা মুখে পুরে ফেললেন পুলিশ কর্মকর্তা (ভিডিও)

বর্তমান সময়ে ঘুষ যেন য্ত্রতত্র দেওয়া নেওয়া শুরু হয়েছে, এবং এই বিষয়টি ঘটে থাকে সরকারী দপ্তরগুলোতে। তবে সরকার এই ধরনের দূর্নীতি রুখতে কাজ করে যাচ্ছে। খোদ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘুষকান্ডে বেশি জড়িত। এবার এক পুলিশ কর্মকর্তা ঘুষের টাকা লুকাতে গিয়ে ভিন্ন এক কান্ড ঘটালেন।

চুরির মামলায় পুলিশ ভিজিল্যান্স অফিসারের কাছে ঘুষের টাকা নিয়ে ধরা খেলেন পুলিশ। এ সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তা টাকা লুকাতে না পেরে টাকা গিলে ফেলার চেষ্টা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফরিদাবাদ শহরে। ওই পুলিশ অফিসারের নাম মহেন্দ্র উলা।

সম্প্রতি এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাই’রাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ভিডিওতে দেখা যায়, ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুষের টাকা মুখে পুরে ফেলেন মহেন্দ্র। পরে ভিজিল্যান্স অফিসাররা তার মুখ থেকে সেই টাকা বের করার জন্য ল”ড়াই শুরু করে। একপর্যায়ে তারা তাকে মাটিতে ফেলে দেয় এবং মুখে আঙুল দিয়ে ঘুষের টাকা বের করার চেষ্টা করে। কিন্তু নাছোড়বান্দা মহেন্দ্র, সেই টাকা বের করতে দেবেন না। অবশেষে তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

এই ঘুষ মামলার নেপথ্যে রয়েছে মহিষ চু’রির মামলা। চু’রির ঘটনায় মহিষের মালিকের কাছ থেকে ঘুষ নিচ্ছিলেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

জানা গেছে, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা যাদের মহিষ চুরি হয়েছে তাদের বলেছেন, ১০ হাজার টাকা ঘুষ দিলে তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। তবে মহিষের মালিক শুভনাথের দাবি, তিনি ইতিমধ্যে পুলিশকে ঘুষ হিসেবে ৬ হাজার টাকা দিয়েছেন। তারপর বাকি টাকা দাবি করলে ভিজিল্যান্স দফতরের দ্বারস্থ হন শুভনাথ। এরপর এ ঘটনা সামনে আসে।

তবে তিনি ঘুষের সেই টাকা গিলে ফেলেছিলেন কিনা সে বিষয়ে তেমন কিছু জানা যায়নি। তবে তিনি যে ঘুষ খেয়েছিলেন সে বিষয়ে হাতেনাতে ধরা খেয়েছিলেন ঐ পুলিশ। ধারনা করা হচ্ছে, ঐ পুলিশ অফিসারের এই বিষয়ে বরখাস্ত হতে পারেন।

https://www.youtube.com/shorts/2l0FVisjj3M

About bisso Jit

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *