Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ধমক দিয়ে থামানোর চেষ্টা প্রতিমন্ত্রীর, বুঝে ওঠার আগে একে অপরকে জামা টেনে ঘুষি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের

ধমক দিয়ে থামানোর চেষ্টা প্রতিমন্ত্রীর, বুঝে ওঠার আগে একে অপরকে জামা টেনে ঘুষি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের

বাংংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম বৃহৎ একটি অঙ্গ-সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। দলের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রেখে রীতিমতো কাজ করে যাচ্ছে এ দলটি। তবে অনেক সময়ে নানা অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটিয়ে রীতিমতো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসতে দেখা যায় ছাত্রলীগকে। আর এরই জের ধরে আবরও এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ছাত্রলীগ কর্মীদের মাঝে।

জানা যায়, গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সামনেই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। প্রতিমন্ত্রী তাৎক্ষণিক সাময়িকভাবে তাদের নিবৃত্ত করলেও তিনি অনুষ্ঠান শেষে চলে যাওয়ার পর আবারও ক্যাম্পাসে কয়েক দফায় হাতাহাতিতে লিপ্ত হয় ছাত্রলীগ।

জানা গেছে, কলেজের উদ্যোগে গতকাল শনিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক এবং ইনডোর গেমস সপ্তাহের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী প্রধান অতিথি ছিলেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি প্রার্থী নিলয় চন্দ্র সরকার কিছু নেতাকর্মী নিয়ে প্রতিমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।

এ সময় ছাত্রলীগ শাখা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিক্ষানবিশ চিকিৎসক (ইন্টার্ন) আল-আমিন তার সমর্থক নেতাকর্মীদের নিয়ে তাদের প্রতিহত করেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিমন্ত্রী তাদের ধমক দিয়ে নিবৃত্ত করলেও অনুষ্ঠান শেষে প্রতিমন্ত্রী চলে গেলে ফের তাদের মধ্যে ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে কলেজের শিক্ষকরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সভাপতি প্রার্থী ছোট নেতা বড় নেতাকে টপকিয়ে প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিতে গেলে একে অপরকে জামা টেনে ধরেন। এক পর্যায়ে কিছু বুঝে ওঠার আগে ঘুষির ঘটনা ঘটে। পরে প্রতিমন্ত্রী ধমক দিয়ে তাদের থামিয়ে দেন।

সভাপতি প্রার্থী নিলয় চন্দ্র সরকার বলেন, অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে শেষ হয়েছিল। শেষ পর্যায়ে এমন ঘটনাটি ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত। কলেজ ছাত্রলীগ শাখা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিক্ষানবিশ চিকিৎসক আল-আমিন বলেন, বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেছে। অধ্যক্ষ স্যার বিষয়টি নিয়ে পরে বসবেন।

এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ মো. আব্দুল কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, নতুনরা কমিটি চালানোর সূত্র ধরে তাদের মাঝে এ দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা ক্যাম্পাসজুড়ে বইছে তীব্র শোরগোল। তবে প্রতিমন্ত্রী তাদেরকে থামতে বলার পরও তারা এ দ্বন্দ্ব চালিয়ে যাওয়ায় নিন্দা জানিয়েছেন কেউ কেউ।

About

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *