ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের টার্গেট করে নিজের রূপের জালে ফেলে এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গেই শা’রীরি’ক মি’ল’নে লি’প্ত হতেন অর্চনা নাগ। আর সেই ঘটনার পুরো ভিডিও ধারণ করতেন স্বামী জগবন্ধু। এরপর এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়ার ভ’য়’ভী’তি দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতেন অর্চনা নাগ।
তাঁকে নিয়ে তোলপাড় ওড়িশার রাজ্য রাজনীতি।
গত ৬ অক্টোবর অর্চনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে তার ঠিকানা ভুবনেশ্বরের ভরপাড়া বিশেষ কারাগার।
কর্তৃপক্ষের দাবি, কারাগারে আসার পর থেকে অর্চনা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক আচরণ করছেন। তার চোখে কোনো উদ্বেগ বা অনুশোচনার চিহ্ন নেই।
কারা কর্মকর্তা বলেন, অর্চনা তার সম্পর্কে গণমাধ্যম কী বলছে, তার বিরুদ্ধে কী তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে সেদিকে নজর রাখছেন।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, অর্চনা দিনের বেশিরভাগ সময় টিভিতে খবর দেখে কাটান। জেলখানায় সকালে টিভি চালু হয়। রাত ১০টা পর্যন্ত টিভি অনুমোদিত। আর এই সময় বেশিরভাগ সময়ই খবর দেখছেন অর্চনা।
ওড়িশার বিভিন্ন মিডিয়ায় দাবি করা হচ্ছে যে ওড়িশার ২৫ জন রাজনীতিবিদ অর্চনার ‘ফাঁ’দে পড়েছেন। তাদের মধ্যে ১৮ জন বিধায়ক ও দুজন মন্ত্রী রয়েছেন। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় চলছে।
আদালতে জামিনের আবেদন করেন অর্চনা। কিন্তু শুক্রবার মহকুমা আদালত তার জামিন আদেশ আপাতত স্থগিত করে। আদালতে, অর্চনার আইনজীবী দেবাশিস মহাপাত্র দাবি করেছেন যে তার মক্কেলকে ফাঁসানো হচ্ছে। উত্থাপিত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এরপর তিনি অর্চনার জামিনের আবেদন করেন।
প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে মো’বাইলে ঘ”নি’ষ্ঠ ক’থাবা’র্তা, বাড়িতে ডে”কে নি’য়ে এসে তাঁদের সঙ্গে শা”রী’রি’ক সম্প’র্কে লি”প্ত’ হতেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আর সেই ছবি এবং ভিডিয়ো করতেন তাঁর স্বামী ‘জগবন্ধু। তার পর সেই ছবি এবং ভিডিয়ো দেখিয়ে প্রভাবশালীদের লাখ লাখ টাকা আদায় করতেন।
এদিকে দেশটির এক সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ৫০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির একটি তালিকা বানিয়েছিলেন অর্চনা। এরপর তাদের সঙ্গে ‘ব্ল্যা’ক’মে’ইল’ করে লাখ লাখ টাকা হা’তি’য়ে নিয়েছেন তিনি ।