বাংলাদেশে নিন্ম আয়ের মানুষেরা দৈনন্দিন চাহিদায় থাকা পন্য দ্রব্যের দামের উর্ধগতির কারনে অনেকটা বি’পাকে পড়েছেন। কারন তাদের দৈনিক যে আয় সেটার অধিকাংশ খরচ হয়ে যায় ঐ দৈনিক চাহিদায় থাকা পন্যদ্রব্য কিনতে। দেশে যে সকল পন্যদ্রব্যের দাম বেড়ে যায় সেগুলোর দাম আর খুব বেশি কমার সামান্যতম প্রবনতাও থাকে না। দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম অনেকটা লাগামহীনভাবে বেড়ে যাওয়ায় মানুষের জীবনযাত্রায় অনেকটা প্রভাব পড়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের এইভাবে দাম বেড়ে যাওয়ার কারন হিসেবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী এর জন্য আন্তর্জাতিক মূল্য বৃদ্ধিকে দা’য়ী করেছেন।
রোববার ঢাকা চেম্বার মিলনায়তনে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা প্রতিনিয়ত মিটিং করে যাচ্ছি। যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে বলে কথা বলা হচ্ছে, যেমন-তেল, চিনি… প্রত্যেকটা পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বেড়েছে। তাই আমাদের দেশে এর প্রভাব পড়েছে। দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে গরিব কিংবা স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য টিসিবির মাধ্যমে কম দামে পণ্য বিক্রির চেষ্টা করছি।
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজে আমাদের ২০ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। যার ৯০ শতাংশ আমরা ভারত থেকে আমদানি করে পূরণ করি। ভারত যখন দাম বাড়িয়ে দেয়, তখনই আমাদের দেশে তার প্রভাব পড়ে। মিসরসহ অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি (পেঁয়াজ) করাটা অনেক সময়ের ব্যাপার, অনেক সময় আমদানিকালে পথিমধ্যে পচে যায়। এ বিষয়টি সবাইকে বুঝতে হবে।
টিপু মুনশি বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ৯৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধাভোগ করছে। ১১ কোটি মানুষ ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করছে। টেলিফোন সুবিধা তো আরও বেশি। ২০২৬ সালে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি মিলবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের অনেক সুবিধা কমে যাবে, সেই চ্যা’লেঞ্জ মোকাবি’লা করতে হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে কিছু পন্যের দাম বাড়লেও আমাদের দেশের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটদের অধিক মুনাফা লাভের জন্য কারসা’জি এবং বাজার নিয়ন্ত্রনকে দা’য়ী করেছেন অনেক অর্থনীতিবিদ। কারন অনেক সময় ব্যবসায়ীরা কোনো পন্যের বিষয়ে দাম বাড়তে পারে কিংবা ফসলের ক্ষ’তি হয়েছে এমন কিছু জানতে পারলেই কয়েক মিনিটের মধ্যে দাম বাড়িয়ে দেয়। এই ধরনের বিষয়টিকে বন্ধ করতে হলে ক’ঠোরভাবে বাজার মনিটরিং প্রয়োজন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সেটা খুব কম পরিলক্ষিত হতে দেখা যায়।