বাংলাদেশে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়া নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিএনপির সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর তার দেয়া বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশের হত-দরিদ্র মানুষের জীবন যাপনে নানা পরিবর্তন দেখা গেছে। তিন-বেলা দুমুঠো অন্য যোগাতে তাদের নানা ধরনের সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়।’ পণ্য ও খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের দরিদ্র মানুষের অবস্থা তুলে ধরে কথা বলেন তিনি।
এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দ্রব্যমূল্য যে বেড়েছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। শেখ হাসিনা ব্যবসা করেন না। অন্য দেশে যে পণ্যের দাম বেড়েছে, সে দাম কমাতে পারবে না।
তিনি বলেন, দেশে উৎপাদিত পণ্য ট্রাকে করে বড় শহরে নিয়ে ন্যায্যমূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যেসব পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কর রেয়াত দেব, ভ্যাট মওকুফ, বিদেশ থেকে শুল্কমুক্ত খাবার আনার ব্যবস্থা করা হবে।
শুক্রবার সকালে সুনামগঞ্জের ছাদে লক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম এ মান্নান বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট করা যায় না। সরকার কঠোর হাতে দমন করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা অশ্লীলতা ও ঔদ্ধত্য পছন্দ করেন না। সে সবসময় পর্দানশীল অবস্থায় চলাফেরা করে। শেখ হাসিনার সরকার দেশের গ্রাম-শহরে সব সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লন্ডন প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা গয়াসুর রহমান। সাইদুল ইসলাম শামীম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম যৌথভাবে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান তানভীর আশরাফী চৌধুরী প্রমুখ। .
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রহমান, এএসপি সার্কেল বিল্লাল আহমেদ, ছাতক থানার ওসি মাহবুবুর রহমান, গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি ডিগ্রি অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুম মিয়া প্রমুখ। সাবেক ছাতক পৌরসভার মেয়র আব্দুল ওয়াহিদ মজনু, ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাদাত লাহিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপি বেগম, ইউপি চেয়ারম্যান সুন্দর আলী, বিল্লাল আহমেদ, আলতাবুর রহমান, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাহাব উদ্দিন, সিলেট জর্জ কোর্টের এপিপি অ্যাডভোকেট মাসুম আহমেদ প্রমুখ। সাজিদুর রহমান, আবু কায়েশ, সালিকুর রহমান, বাবুল মিয়া, রফিক মিয়া, দৈনিক উত্তর পূর্ব বার্তা সম্পাদক তাপস পুরকায়স্থ, সাংবাদিক হাবিবুর রহমান, প্রধান শিক্ষক মোশতাক আহমদ, মাওলানা ফিরোজ আহমদ, জয়নাল আহমদ, মাওলানা শামসুল ইসলাম, নুরুল হক, সহকারী শিক্ষক মাওলানা মিয়া, মাওলানা মো. রেজ্জাদ আহমেদ, পরেশ দাস, রহিমা বেগম, জাকারিয়া, আব্দুল বাছিত, খলিলুর রহমান, প্রার্থনা রানী চক্রবর্তী, সাফিয়া বেগম, নাজমিন বেগম, আবু জাহিদ আবদ, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক মো. উল গাফ্ফার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আমদানিকৃত যে সকল পণ্য বিভিন্ন দেশ থেকে আসে, সে সকল পণ্যের দাম কমানো সম্ভব না বলে জানিয়েছেন দেশের বড় বড় রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তারা কারন সম্পর্কে বলেন, অন্য দেশের আমদানিকৃত পণ্যের দাম ওই সমস্ত দেশেই বেশি, এবং পরিবহনের মাধ্যমে দেশে আনতে একটি নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ খরচ হয়, যেটা বর্তমানে বেশি। অতঃপর আমাদের দেশে পৌঁছাতেই দাম বেড়ে যায়। তবে এ বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।