সোহানা সাবা বর্তমান সময়ের একজন সফল অভিনেত্রী, তিনি এই প্রথমবারের মতো কোনো সিনেমা প্রযোজক হিসেবে নিজের নাম লিখিয়েছেন। কবরীর পরিচালনায় আয়না নামক একটি সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি রূপালী পর্দায় অভিষেক করেন। এরপর তিনি বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন যার মধ্যে রয়েছে ‘চন্দ্রগ্রহন’, ‘বৃহন্নলা’, ‘প্রিয়তমেশু’ এবং ‘খেলাঘর’। তার অভিনয় নৈপূন্যতা অন্য শিল্পীদের থেকে অনেকটা আলাদা। যার কারনে তিনি একটি বিশেষ জায়গা পেয়েছেন। সোহানা বর্তমান সময়ে কয়েকটি ছবিতে কাজ করতে যাচ্ছেন, যার কারনে তিনি সামনে ব্যস্ত সময় পার করবেন।
সোহানা সাবার অভিনীত একটি সিনেমা কোলকাতায় মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। সোহানা সাবা দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে চলচ্চিত্র নির্মাণ, ক্যারিয়ার, ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ এবং আরও অনেক বিষয়ে কথা বলেছেন।
প্রশ্ন: ইতোমধ্যে ওয়েব সিরিজ ও নাটক প্রযোজনা করেছেন। সিনেমা প্রযোজনার কোনো ইচ্ছে আছে?
অবশ্যই। সিনেমা প্রযোজনার জন্য সবকিছু গুছিয়ে এনেছি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সিনেমা প্রযোজনার ঘোষণা দেব। আমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান খামারবাড়ি থেকে প্রথম সিনেমার শু’টিং এ বছরই শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পরিচালক ও অভিনয় শিল্পী…
তাদের নাম সময় হলেই জানতে পারবেন। এগুলো নিয়েই এখন প্রস্তুতি চলছে।
প্রশ্ন: নাটক ও সিনেমার মধ্যে কোনটা বেশি টানে?
সাবা: আমাকে অভিনয়টা টানে। সেটা নাটক হোক কিংবা সিনেমা।
প্রশ্ন: এখনকার ব্যস্ততা কি নিয়ে?
সাবা: আফজাল হোসেনের পরিচালনায় ‘মাণিকের লাল কাঁকড়া’ আমার সর্বশেষ অভিনীত সিনেমা। কলকাতায় ‘এপার ওপার’ নামে একটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। সম্প্রতি ‘বলি’ নামে একটি ওয়েব সিরিজের শু’টিং শেষ করলাম।
প্রশ্ন: অনেকদিন ধরে একাকী আছেন। একলা জীবন শেষ হবে কবে?
সাবা: জানি না এখনো। এটা নিয়ে ভাবিনি তা নয়। সেরকম কাউকে পেলে দুজন হওয়ার বিষয়টি নিয়ে ভাবব। এখনো পাইনি। তবে একজন অন্য রকম মানুষ হতে হবে তাকে। ভিন্ন হবে সবার থেকে। মানসিকতা উন্নত হতে হবে। আমার বাবা প্রয়াত হয়েছেন। সন্তান আছে, মা আছেন। শু’টিংয়ের ব্যস্ততা আছে। অনেকদিন একা আছি। জীবন তো থেমে থাকে না। পারফেক্ট মানুষ পেলে দুজন হওয়ার কথা ভাবব।
প্রশ্ন: আজ আপনার জন্মদিন। বিশেষ কোনো পরিকল্পনা?
সাবা: টানা শু’টিং করলাম। একটু বিশ্রাম দরকার। পরিকল্পনা ছিল জন্মদিন উপলক্ষে ঘুরতে যাব। এক সপ্তাহের জন্য দেশের বাইরে যাচ্ছি। ২টি দেশ ঘুরে আসার ইচ্ছে আছে।
প্রশ্ন: বেড়ানোর সময় কার সঙ্গ বেশি ভালো লাগে?
সাবা: নিজের সঙ্গ বেশি ভালো লাগে। একা ঘুরতে পছন্দ করি। অবশ্য মাঝে মাঝে কয়েকজন আপুও সঙ্গে থাকেন। কিন্তু একা হাঁটা, একা কথা বলা, একা সময় কাটানোও অনেক আনন্দের। এটা অবশ্য আমার অভিমত। অন্যরা কীভাবে নেবে জানি না। একা একা নিজেকে চেনা যায়।
উল্লেখ্য, সোহানা সাবা একজন বাংলাদেশী টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। সাবা ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন এবং বেড়ে ওঠেন, সোহানা সাবা যথাক্রমে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি এবং মহিলা কলেজ থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি সম্পন্ন করেন। পরে, তিনি শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি থেকে ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে স্নাতক ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। সাবা বুলবুল ললিতকলা একাডেমি এবং ছায়ানটের প্রশিক্ষিত শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী। তার ক্যারিয়ার নৃত্যশিল্পী হিসাবে শুরু হয়েছিল এবং অবশেষে টিভি কমার্শিয়াল এবং নাটকে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি কলকাতার কয়েকটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন এবং সেখানে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সাবা সবসময় তার অভিনয়ের মাধ্যমে ভিন্ন কিছু করার দিকে মনোনিবেশ করেন, তাই তিনি কাজ সম্পর্কে খুব বাছ বিচার করে থাকেন।