নওগাঁয় বিএনপি নেতা কামাল আহমেদকে ‘কু’পি’য়ে হ’ত্যা’ করেছে হেলমেট ও মুখোশ পরি’হিত দু’র্বৃত্তরা। নিহত কামাল আহমেদ নওগাঁ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সভাপতি। এছাড়া তিনি নওগাঁ ট্রাক সেটেলমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি। কামাল আহমেদ নওগাঁ নজরুল একাডেমির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জাসাস) নওগাঁ জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন।
কামাল আহমেদের ওপর হামলার সময় তার রাজনৈতিক সহকর্মী ও চকরামপুরের পৌরসভার রুমন মণ্ডল একই অটোরিকশায় ছিলেন। তিনি জানান, শনিবার সন্ধ্যায় তিনি ও কামাল আহমেদ একসঙ্গে সান্তাহার রেলস্টেশনে যান। সান্তাহারে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা শেষে রাত ৯টার দিকে অটোরিকশায় করে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। পথে সান্তাহার-নওগাঁ সড়কের ইয়াদ আলী মোড়ে তিনটি মোটরসাইকেল থামিয়ে মুখে হেলমেট ও কাপড় পরা ছয়-সাতজ’ন ব্যক্তি তাদের অটোরিকশার গতিরোধ করে। কামাল অটোরিকশার পেছনে আরো দুই যাত্রী নিয়ে বসে ছিলেন। আর তিনি অটোরিকশার সামনের চালকের আসনে বসেছিলেন।
হামলাকারীরা কামালকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে কোপাতে থাকে। তারপর সে, গাড়ির চালক ও অন্য দুই যাত্রী প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে রাস্তার পাশে একটি গলিতে ঢুকে পড়ে। কিছুক্ষণ পর তিনি এসে কামালকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। ততক্ষণে আশপাশের লোকজন সেখানে জড়ো হয়। হেলমেট ও মুখে কাপড় বাঁধা থাকায় তারা কাউকে চিনতে পারেনি। স্থানীয়রা কামাল আহ’মেদকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কামাল আহমেদ হত্যার ঘটনায় তার ছেলে নবাব আলী বাদী হয়ে নওগাঁ সদর থানায় মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
নওগাঁ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কামাল হোসেন জানান, হাসপাতালে আনার আগেই রোগীর (কামাল আহমেদ) মৃ’ত্যু হয়। তার ঘাড়ে ও পিঠে একাধিক ছু”রি’কা’ঘা’তের চি’হ্ন রয়েছে। রক্ত’ক্ষ’র’ণে তার মৃ’ত্যু’ হয়। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন বলেন, চলমান আন্দোলনে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে টার্গেটেড হামলা চালানো হচ্ছে।এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি নওগাঁর রাণীনগর, আত্রাই ও সদর উপজেলায় পাঁচটি ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান জানান, হামলার সময় রাস্তার পাশের বাড়ি থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজে দেখা গেছে, হামলাকারী ছয়-সাতজন। তবে মুখে হেলমেট ও কাপড় বাঁধার কারণে কাউকে চেনা যাচ্ছে না। তবে প্রত্যক্ষদর্শী, পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ইতোমধ্যে হত্যাকাণ্ডের কিছু ক্লু পাওয়া গেছে। শিগগিরই খু’নি’দে’র চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।