পদ্মসেতু উদ্বোধনের দেড় বছরে এক হাজার ২০৮ কোটি ৫২ লাখ ৭৯ হাজার টাকা আদায় হয়েছে।
বুধবার বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক ও সেতু বিভাগের সচিব মো. মঞ্জুর হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
মঞ্জুর হোসেন বলেন, আমরা যা আশা করেছিলাম তাই হচ্ছে। যানজট বেড়েছে। টোল আদায়ে আমরা যা আশা করছিলাম তার চেয়ে বেশি পাচ্ছি। এখন প্রতিদিন গড়ে ২ কোটির বেশি টোল আদায় হচ্ছে।
মঞ্জুর বলেন, ২১টি জেলায় সংযোগ বাড়লে টোল আদায় আরও বাড়বে। বিভিন্ন সময়ে সমীক্ষা থেকে যা ধারণা করা হয়েছিল, আমরা সেই বাড়ার দিকেই আছি।
গত দেড় বছরে এক হাজার কোটি টাকার বেশি টোল আদায় হয়েছে উল্লেখ করে মঞ্জুর বলেন, টোল আদায় হয়েছে ১ হাজার ২০৮ কোটি ৫২ লাখ ৭৯ হাজার টাকা।
সেতু বিভাগ থেকে জানা যায়, গত ৫ এপ্রিল পদ্মাসেতুর ঋণের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তি মোট ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার ৫০ টাকা পরিশোধ করা হয়। ১৯ জুন পরিশোধ করা হয় তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তির ৩১৬ কোটি ২ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩ টাকা। আর ১৮ ডিসেম্বর পঞ্চম ও ষষ্ঠ কিস্তির ৩১৫ কোটি ৭ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪২ টাকা পরিশোধ করা হয়। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে ৯৪৮ কোটি ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৫ টাকা।
সচিব বলেন, কিন্তু ঋণ পরিশোধের পর উদ্বৃত্ত টাকা নেই, এটা সেভাবে বলা যাবে না। আমরা বিভিন্ন জায়গায় টাকা পরিশোধ করি। এতে ঋণের পরিমাণ পরিশোধ করা হয়। এই ঋণের টাকা কোনো বাইরের ঋণ নয়। সেতু কর্তৃপক্ষ ঋণ নিয়েছে সরকারের অর্থ বিভাগের কাছ থেকে। সেই টাকা পরিশোধ করা হয়।
এদিকে যান চলাচল শুরুর দেড় বছরে পদ্মা সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় হয়েছে ১৪২ কোটি ১২ লাখ ৮৩ হাজার ২৫ টাকা।
সচিব বলেন, উপার্জিত অর্থ থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয় এর বাইরে অপারেশনাল ও মেইনটেন্যান্স টাকা খরচ হয়। কোনো টাকা এখানে থাকবে না। কারণ প্রথম বছরে অপারেশনাল ও মোবিলাইজেশন খরচ বলে একটা অর্থের বিষয় থাকে। তাই বছরে খরচ বেশি হয়। এরপর থেকে যা মেইনটেন্যান্স যাবে। আর এখানে যদি টাকা লাগে, তাহলে আরও যে সেতু বিভাগের আন্ডারে স্থাপনা আছে, সেখান থেকে অর্থ নেয়া হয়।