আইনের লোক হয়ে নিজেই আইন ভঙ্গ করায় দৌড়ানি দিয়ে ডিবি পুলিশের এসআইকে পাকড়াও করলো এলাকাবাসী। যে ঘটনা সাম্প্রতিক ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। গোপন পরিচয় এলাকায় ঢুকে নিজেদের স্বার্থের জন্য মানুষের সাথে প্রতারণা করত এসআই শাহিন ইসলাম, এমনই অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
দিনাজপুরের খানসামায় টাকা নিয়ে পালানোর সময় গোয়েন্দা (ডিবি) সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহীন ইসলামকে আটক করেছে জনতা। সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পাকেরহাট কাইনডুবি ব্রিজ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে খানসামা থানা পুলিশ শাহীনকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
আটক শাহীন ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের এএসআই হিসেবে কর্মরত। এর আগে তিনি খানসামা থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে উপজেলার পাকেরহাট কাইনডুবি ব্রিজ মোড়ে এএসআই শাহীনের কাছ থেকে ডলার কিনতে আসে দুই যুবক। কিন্তু শাহীন ডলার না দিয়ে টাকা নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ডলার কিনতে এসে প্রতারিত দুই যুবক চিৎকার করে। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে শাহীনকে আটক করে পুলিশ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
পরে ডলার ক্রেতা দিনাজপুর সদরের কামালপুর এলাকার যুবক আব্দুল হান্নান বাদী হয়ে গোয়ালডিহি ইউনিয়নের শিমুলতলী এলাকার এএসআই শাহীন ও তার সহযোগী জয়নুল আবেদীনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন।
খানসামা থানার ওসি চিত্তরঞ্জন রায় জানান, শাহীনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে ভিকটিম বাদী হয়ে মামলা করেন। এই চক্রটিকে ধরতে আরও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে।
অবৈধপথে দেশের বিপুল পরিমানের অর্থ এভাবেই কেনাবেচা চলে। এভাবেই প্রতিনিয়ত কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। এভাবে অবৈধ পথে টাকা কেনা বেচা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ । এছাড়া সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণার দায়ও আছে তার উপর।