বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুরাল নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটুক্তি করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায অবশেষে সেই আলোচিত রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এর আগে গত বেশকিছু দিন ধরে পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন মেয়র আব্বাস আলী। এদিকে তাকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের স্থানীয় কমিটি থেকে অব্যাহতি পাওয়া এই নেতা ‘দেশ ছাড়ার’ চেষ্টায় ছিলেন।
জাতির পিতার ম্যুরাল স্থাপনের বিরোধিতা করে কিছু মন্তব্যের একটি অডিও ভাইরাল হওয়ার পর গত সপ্তাহ তিনেক ধরে আলোচনায় রয়েছেন আব্বাস। বুধবার ভোরে ঢাকার কাকরাইলের হোটেল রাজমনি ঈশা খাঁ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন পরে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর থেকেই তাকে খোঁজা হচ্ছিল।
“গত ২৩ তারিখ থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে ছিলেন। মঙ্গলবার তিনি হোটেলে ঈশা খাঁয় অবস্থান নিলে র্যাব গোয়েন্দারা জানতে পারে।”
কমান্ডার মঈন বলেন, ‘তার কাছে পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তার দেশত্যাগের পরিকল্পনা ছিল।”
নৌকা প্রতীক নিয়ে টানা দুইবার রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত আব্বাস আলী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
সম্প্রতি ওই অডিও টেপ ফাঁস হওয়ার পর তাকে পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক পদের পাশাপাশি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই অডিও টেপে বলতে শোনা যায়, রাজশাহী সিটি গেইটে বঙ্গবন্ধুর যে ম্যুরাল করার নকশা দেওয়া হয়েছে, সেটা ‘ইসলামি শরিয়ত মতে সঠিক নয়’। এটা করতে দিলে ‘পাপ হবে’।
রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করে র্যাব বলেছে, আওয়ামী লীগের স্থানীয় কমিটি থেকে অব্যাহতি পাওয়া এই নেতা ‘দেশ ছাড়ার’ চেষ্টায় ছিলেন।
জাতির পিতার ম্যুরাল স্থাপনের বিরোধিতা করে কিছু মন্তব্যের একটি অডিও ভাইরাল হওয়ার পর গত সপ্তাহ তিনেক ধরে আলোচনায় রয়েছেন আব্বাস। বুধবার ভোরে ঢাকার কাকরাইলের হোটেল রাজমনি ঈশা খাঁ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন পরে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মেয়র আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর থেকেই তাকে খোঁজা হচ্ছিল।
“গত ২৩ তারিখ থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে ছিলেন। মঙ্গলবার তিনি হোটেলে ঈশা খাঁয় অবস্থান নিলে র্যাব গোয়েন্দারা জানতে পারে।”
কমান্ডার মঈন বলেন, ‘তার কাছে পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। তার দেশত্যাগের পরিকল্পনা ছিল।”
নৌকা প্রতীক নিয়ে টানা দুইবার রাজশাহীর পবা উপজেলার কাটাখালী পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত আব্বাস আলী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
সম্প্রতি ওই অডিও টেপ ফাঁস হওয়ার পর তাকে পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক পদের পাশাপাশি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই অডিও টেপে বলতে শোনা যায়, রাজশাহী সিটি গেইটে বঙ্গবন্ধুর যে ম্যুরাল করার নকশা দেওয়া হয়েছে, সেটা ‘ইসলামি শরিয়ত মতে সঠিক নয়’। এটা করতে দিলে ‘পাপ হবে’।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের পর কাটাখালীর পৌর মেয়রের ওই অডিও ভাইরাল হলে রাজশাহীতে তুমুল আলোচনা শুরু হয়।
তার অপসারণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ওই মন্তব্য করে আব্বাস আলী প্রচলিত আইনে ‘শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ করেছেন।
এরপর রাজশাহীর নগরের রাজপাড়া, বোয়ালিয়া ও চন্দ্রিমা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিনটি মামলা হয় আব্বাসের বিরুদ্ধে।
মেয়র আব্বাস প্রথামে দাবি করেছিলেন, ওই অডিও ‘এডিট করা’। তবে পরে ফেইসবুক লাইভে এসে তিনি স্বীকার করেন, ওই অডিও তিন-চার মাস আগের, ওই বক্তব্যও তার।
মেয়র সেখানে বলেন, স্থানীয় একটি মাদ্রাসার বড় হুজুরের কথায় প্রভাবিত হয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল না রাখার বিষয়টি বলেছিলেন ‘কথাচ্ছলে’।
কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলতে থাকেন, যদি এটা এত বড় ভুল হয়ে থাকে, সেজন্য তিনি ক্ষমা চান। ‘চক্রান্ত হচ্ছে’ দাবি করে সবাইকে পাশে দাঁড়ানোরও অনুরোধ করেন।
র্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন বলেন, “ডিজিটাল মাধ্যমে যে বক্তব্য প্রচার হয়েছে, সেটা মেয়র আব্বাসেরই বক্তব্য, তিনি সেটা আমাদের জানিয়েছেন।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তিনি ওই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন- এমন কিছু মেয়র আমাদের বলেননি।”
এদিকে এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুসহ বেশ কয়েনজন নেতাকর্মীদের নামে বিদ্রুপ মন্তব্যের একটি অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো বেশ আলোচনায় আসেন গাজীপুর মেয়র জাহাঙ্গীর। তবে বঙ্গবন্ধুর নামে কটুক্তি করে সেও রক্ষ পায়নি। তাকেও দল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।