দক্ষিন এশিয়ার দেশ পাকিস্তান বেশ আগে থেকেই অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়েছে, যার কারনে দেশটির সরকার অনেকটা হিমসিম খাচ্ছে দেশ পরিচালনা করতে গিয়ে। তবে দেশটির সরকার অকপটে স্বীকার করছেন বিষয়টি। তবে বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতারা অতীতের সরকারকে দায়ী করছেন। দেশটির দেউলিয়া হওয়া নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।
দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দেশ পাকিস্তান যেকোনো সময় খেলাপি বা দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে বলে অনেকেই আশ”ঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তবে এবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ স্পষ্টই জানিয়েছেন তাদের নিজেদের আসল অবস্থান। তিনি দাবি করেন, পাকিস্তান ইতিমধ্যেই খেলাপি হয়ে গেছে।
আর খাজা আসিফ এর জন্য পাকিস্তানের সাম”রিক, আমলাতন্ত্র এবং রাজনীতিবিদসহ “সবাইকে” দায়ী করেছেন। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
খবরে বলা হয়েছে, শনিবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের শিয়ালকোটে একটি বেসরকারি কলেজে ভাষণ দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।
সেখানে তিনি বলেন, ‘আপনি হয়তো শুনেছেন পাকিস্তান দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে বা খেলাপি রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে বা বিপ”র্যয়কর পতন বা ভাঙ্গনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। (এটা হবে, এখন আর এমন নয়) এটা ইতোমধ্যেই হয়েছে। আমরা একটি দেউলিয়া দেশে বাস করছি।’
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, একটি স্থিতিশীল দেশ হওয়ার জন্য নিজের পায়ে দাঁড়ানো অপরিহার্য। আমাদের সমস্যার সমাধান দেশের মধ্যেই নি”হিত। আইএমএফের কাছে পাকিস্তানের সমস্যার কোনো সমাধান নেই।
খাজা আসিফ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি গত সাত দশকে সংবিধান ও আইনের শাসনের ন্যূনতম বিবেচনার ফল।
প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেট তারকা ইমরান খানের নেতৃত্বে প্রাক্তন পিটিআই সরকারকে কটাক্ষ করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আসিফ বলেছেন যে, আড়াই বছর আগে সন্ত্রা”/সীদের পাকিস্তানে আনা হয়েছিল যা শেষ পর্যন্ত সন্ত্রা”/সবাদের বর্তমান তরঙ্গে পরিণত হয়েছে।
করাচিতে পুলিশ সদর দফতরে হাম”/লার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, নিরাপত্তা সংস্থারা কেপিওতে (করাচি পুলিশ অফিস) হাম”/লাকারীদের সঙ্গে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছে। খবর প্রকাশ করেছে আলোচিত ডন পত্রিকা।
প্রসংগত, পাকিস্তানের অর্থনীতি উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির হার, বৃহৎ বাণিজ্য ঘাটতি, কম বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং ধীর জিডিপি বৃদ্ধির হার সহ বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। তবে কিছু ইতিবাচক অগ্রগতিও ছিল। সরকার অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে বেশ কিছু সংস্কার বাস্তবায়ন করেছে, যেমন রাজস্ব ঘাটতি হ্রাস করা, কর রাজস্ব বৃদ্ধি করা এবং বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করা। উপরন্তু, দেশটির টেক্সটাইল এবং অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।