বর্তমান সময়ে অধিকাংশ তারকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব হয়েছে। এমনকি তাদের অভিনীত বেশ কিছু সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। এরই সূত্র ধরে সিনেমা হল এবং অনলাইন প্লাটফার্ম প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা তুলে ধরেছেন বাংলাসদেশের বহুল আলোচিত ও জনপ্রিয় অভিনেতা মিশা সওদাগর।
‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন মডেল-অভিনেতার ছড়াছড়ি। মাঝেমধ্যে নিজেই দ্বিধায় পড়ে যাই। আমাকে যারা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়, সবাই অভিনেতা! প্রোফাইলে দেখি আর্টিস্ট লেখা। ফেসবুকে সবাই মডেল অভিনেতা, অথচ সিনেমা করতে গেলে আমরা শিল্পী খুঁজে পাই না’- এমনই মন্তব্য করেছেন ঢাকাই সিনেমার দাপুটে অভিনেতা মিশা সওদাগর। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির কল্যাণে এসব হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তিকে আমরা গ্রহণ করব। যেমন ওটিটি। এখানে স্টার কাস্ট ছাড়াই অভিনয়ের সুযোগ থাকে। গল্পই স্টার হয়ে থাকে। তবে ওটিটির আধিক্য দেখা গেলেও সিনেমা হল কখনও বন্ধ হবে না।’
শিল্পী সমিতির সভাপতির ভাষ্য, ‘ওটিটি সময়ের সঙ্গে এসেছে বলে এটাকে আমি ওয়েলকাম করি। ওটিটি অনেক অভিনেতাকে তুলে আনছে। গ্ল্যামার ও বেশি পারিশ্রমিক ছাড়াই অনেকে ভালো কাজ করছে। পশ্চিমবঙ্গের অনেক ওটিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শাহরুখ খান নিজের প্রডাকশন থেকে ওটিটির সঙ্গে কাজ করছেন। এগুলো সময়ের চাহিদা।’ ঢাকাই সিনেমার সবচেয়ে জনপ্রিয় এই খল অভিনেতা বলেন, ‘আমাদের দেশে ১৮ কোটি মানুষ। ওটিটির সব সেটিংস ঠিক করে এই মাধ্যমে দেখার মতো শিক্ষিত মানুষ এখনও হয়ে ওঠেনি। কিন্তু কোটির ওপর মানুষ হল থেকে ছবি দেখে। তাছাড়া ওটিটি আর সিনেমা হলে ছবি দেখার ফিলটাই পুরোটা ভিন্ন। একসময় থার্টি ফাইভে শুটিং করতাম। সেখান থেকে ডিজিটাল ফরম্যাট। তাই বলে বড় পর্দা হারিয়ে যায়নি, যাবেও না। ওটিটির পর হয়তো আগামীতে আরও অনেক কিছু আসবে। তবে সিনেমা তার জায়গায় থাকবে। সময় ও প্রযুক্তির কল্যাণে হয়তো মাধ্যমটা পরিবর্তন হবে।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বিনোদন জগতের সবচেয়ে ব্যস্ততম শিল্পী মিশা সওদাগর। বর্তমান সময়ে তিনি বেশ কয়েকটি সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।। গত এক দশকে মিশা সওদাগরের অভিনীত সবচেয়ে বেশি সিনেমা বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। এমনকি দেশ জুড়ে রয়েছে তার ব্যপক জনপ্রিয়তা।