বাংলাদেশ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হলেন জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তার পিতা শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শে আদর্শিত হয়ে তিনি সোনার বাংলা গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্যই ফিরে এসছিলেন বাংলার মাটিতে। তিনি অনেক সাহসী এবং বীর বাংলার কন্যা। দেশের মধ্যে বেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন ঘটিয়ে প্রধান মন্ত্রী তার বীরত্ব ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি তার এ ক বক্তব্যে বেলছেন দেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ টানতে মার্কিন অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে মার্কিন বিনিয়োগ বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে ইউএস চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলে তিনি এ ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ১০০ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে। এছাড়াও, হাই-টেক পার্ক এবং ছয় লাখের বেশি দক্ষ ফ্রিল্যান্সার থাকার কারণে আইটি সেক্টরে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ একটি আদর্শ জায়গা।
এছাড়া গত ১৩ বছরে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মার্কিন উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
এ সময় এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে দ্রুত সম্প্রসারিত অর্থনীতির দেশ। এছাড়া ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ আঞ্চলিক সরবরাহ শৃঙ্খলের কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক কর্মক্ষম যুবক যে কোন প্রতিষ্ঠানে বাড়তি সুবিধা নিয়ে আসবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশ-মার্কিন বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাণিজ্যের প্রচলিত খাত ছাড়িয়ে নতুন নতুন ক্ষেত্র গড়ে উঠবে।
এ সময় তিনি মার্কিন উদ্যোক্তাদের ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, রোবোটিক্স, ব্লকচেইন, স্পেস, বায়ো-হেলথসহ তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিশ্বের সব দেশের সাথেই পারস্পারিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সীমাহীন উন্ণয়ন ঘটেছে ফলে এই সম্পর্ক দেশ ও জাতির উন্নয়নে রাখছে অপরিসীম ভূমিকা। প্রধানমন্ত্রী দেশ ও জনগনের সার্বিক উন্নয়নে সদা সতর্ক থেকে অক্লান্তভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।