বর্তমান সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি ত্বরান্বিত করতে কাজ করে যাচ্ছে যার কারনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক শুধু জাতীয়ভাবে নয় বেড়েছে মাথাপিছু হারে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাম্প্রতিক সময় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বরত্মান বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫,৫৫৪ ডলারে। গেল অর্থবছর অর্থাৎ ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে মাথাপিছু আয়ের পরিমান ছিল ২ হাজার ২২৬ ডলার। সেই হিসাবে চলমান অর্থবছরে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৩২৭ ডলার।
দেশের মোট জিডিপি নির্ণয়ের জন্য নতুন করে ২০১৫-১৬ কে নতুন ভিত্তিবছর হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এত দিন ২০০৫-০৬ সালকে ভিত্তিবছর হিসাবে গণনা করা হতো। নতুন ভিত্তিবছরের হিসাবে ২০২০-২১ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ ডলার থেকে বেড়ে ২ হাজার ৫৫৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে।
মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির ব্যাপারে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)’র নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির ফলে মানুষের মাঝে জাতীয় আয়ের সুষম বণ্টন হচ্ছে, তা নিশ্চিত করছে না।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্বব্যাপী চলমান পরিস্থিতির কারনে তাছাড়াও নানা কারণে বৈষম্য বেড়েছে। তবে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির ইতিবাচক দিক হলো, অর্থনীতি গতিশীল আছে। সাধারণ মানুষ কিছুটা হলে লাভবান হচ্ছেন। তবে সেই লাভ হতদরিদ্রদের দরিদ্র দশা থেকে উত্তরণে ভূমিকা রাখছে কি না, তা দেখতে হবে।”
২০১৫-১৬ ভিত্তিবছর ধরে হিসাব করায় আগের কয়েক বছরের মাথাপিছু আয়ও বেড়ে গেছে। যেমন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ১ হাজার ৪৬৫ ডলার। নতুন হিসাবে হয়েছে ১ হাজার ৭৩৭ ডলার। এর পরের প্রতি বছরই মাথাপিছু আয় বেড়েছে। আগের হিসাবে ২০১৯-২০ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ২৪ ডলার। পরবর্তীতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৩৫ ডলারে।
বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে এটা সামনে এলেও সঞ্চয়ের পরিমান সেই তুলনায় বাড়েনি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত যার কারনে নিন্ম বা মধ্যম আয়ের মানুষেরা বিপাকে পড়ছেন। তারা তাদের আয় দিয়ে দ্রব্যমূল্যের সাথে সামন্জস্য করতে পারছেন না, যার কারনে তাদের সঞ্চয়ের পরিমান অনেক কম। তবে সরকারের তরফ থেকে যে তথ্য দেওয়া হয় সেটা অনেকটা ইতিবাচক শোনালেও সাধারন জনগনের জন্য সুখকর বিষয় নয়।