আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মেনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সে অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ এখন ২১.০৭ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বলা হচ্ছে, চলতি মাসের শুরুতে অর্থাৎ গত ১১ অক্টোবর দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার।
IMF পদ্ধতি BPM ৬ অনুযায়ী, গত ১৫ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রকৃত রিজার্ভ ২১.০৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে সাড়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।
একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক নিজস্ব উপায়ে বৈদেশিক মুদ্রা জমার পরিমাণ প্রকাশ করেছে। সেই হিসাব অনুযায়ী এখন দেশের রিজার্ভের পরিমাণ ২৬ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। ১১ অক্টোবর যা ছিল ২৭.০৫ বিলিয়ন ডলার।
সাধারণত, প্রতি মাসে বিদেশ থেকে পণ্য কিনতে গড়ে $৬ বিলিয়ন খরচ হয়। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ এই রিজার্ভ দিয়ে প্রায় ৪ মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে।
এর বাইরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে। এটি শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রকাশ করা হয়নি। আইএমএফ সূত্রে জানা গেছে, দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার।
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ রিজার্ভ গণনার জন্য IMF এর ব্যালেন্স অফ পেমেন্টস এবং ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (BPM6) পদ্ধতি ব্যবহার করে।
বিশ্বব্যাপী বহুল ব্যবহৃত কাঠামো অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক গঠিত বিভিন্ন তহবিলের টাকা মজুদের বাইরে রাখা হয়। পাশাপাশি বিমানের জন্য প্রদত্ত ঋণ গ্যারান্টি, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে মুদ্রা বিনিময় এবং পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে দেয়া ঋণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
এছাড়া ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আমানত এবং নির্দিষ্ট গ্রেডের নিচের সিকিউরিটিজে বিনিয়োগও বাদ দেওয়া হয়েছে।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ নিয়মিত এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (এসিইউ) আমদানি বিল পরিশোধ করছে। রেমিট্যান্স প্রবাহও কমেছে। ফলে মজুদ কমছে।
উল্লেখ্য, গত ২ বছরে প্রতি মাসে রিজার্ভ কমেছে গড়ে ১ বিলিয়ন ডলার।