দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের হাতে নুরুল হুদা ওরফে লিটন (৩৪) নামে এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টার দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহান্সবাগে লিটনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। কয়েকদিনের মধ্যে তার দেশে আসার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
নিহত লিটনের বাড়ি ফেনীর দাগনভূয়া উপজেলায়।
সে দাগনভূঞা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব জগৎপুর গ্রামের লাল মোহাম্মদ বাড়ির এবাদুল হকের ছেলে। দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকা নুরুল হুদার ছোট ভাই নুরুল আলম ফোনে পরিবারের সদস্যদের জানান। নুরুল হুদার চাচাতো ভাই মনির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নুরুল হুদার চাচাতো ভাই মনির হোসেন জানান, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের হিলব্রু এলাকায় ব্যবসা করতেন নুরুল হুদা। সেখানে তার দুটি দোকান রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে সেখানে অবস্থানরত এক বাংলাদেশির সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে দোকানের সামনের রাস্তায় নুরুল হুদাকে একা পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি করে পালিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কিছুদিনের মধ্যে নুরুল হুদার দেশে আশার কথা ছিল। তার বিয়ের জন্য বাড়িতে মেয়ে দেখা চলছিল। এ জন্য বাড়িতে একতলা ভবনের কাজও শেষ করা হয়েছে। দুই দিন আগে নুরুল হুদা বাবাকে বলেছিলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশে এসে নতুন ঘরেই উঠবেন।
দাগনভূঞা সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত নুরুল হুদার বাড়িতে শোকের মাতম শুরু হয়েছে। তার বৃদ্ধ বাবা এবাদুল হক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। ছেলের মরদেহ দেশে আনার দাবি জানান তিনি।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তার মরদেহ দেশে আনার প্রস্তুতি চলছে।