ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় তারকা মাহিয়া মাহির বিয়ের এক মাস পার হওয়ার পর স্বামী রাকিব সরকারের সাথে ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেশ থেকে বিব্রতকর অবস্থায় পতিত হওয়া সংবাদ শুনতে পেলেন যেখানে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ড. মুরাদ হাসানের সঙ্গে তার একটি ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হওয়ার পর ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনায় মাহিয়া মাহি ঐ দিন রাতেই মক্কা থেকে ফে’সবুকে একটি ভিডিও বার্তা দেন মাহি। দেশে ফেরার পর তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথাও বলেন তিনি। এরই মধ্যে দেশে ফিরে এলেও অজানা কারণে সবকিছু থেকে নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন এই নায়িকা।
মাহির ব্যক্তিগত ফোনটিও চালু থাকলেও কারো ফোন তিনি ধরছেন না। তারসঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন নির্মাতারাও।
নির্মাতা শামীম আহমেদ রনির জানান, ওমরাহ শেষ করে ফিরে এসে গত ১০ ডিসেম্বর থেকে মাহির ‘বুবুজান’ সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে কাজ পিছিয়েছেন তিনি।
শামীম আহমেদ বলেন, ‘মাহির সঙ্গে আগেও কাজ করেছি। তিনি পেশাদার একজন শিল্পী। আর এবারের ছবির গল্পটা মাহিকে নিয়ে। তাকে ছাড়া শুটিং করা অসম্ভব। আমি তার মনের অবস্থা বুঝতে পারছি। কিন্তু আমাকেও তো প্রযোজকের দিকটা দেখতে হবে। দ্রুত শুটিং করতে না পারলে, অন্য শিল্পীদের শিডিউল মেলাতে পারব না। আশা করি, মাহি শিগগিরই যোগাযোগ করবেন।’
অবশ্য ফে’সবুকে সরব দেখা গেছে মাহিকে। গত দুদিন ধরে একাধিক স্ট্যাটাসও দিয়েছেন তিনি। সবশেষ হাতে চুড়ি পরা এবং চুড়ির কিছু ছবি ফে’সবুকে পোস্ট দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন- দু’চোখের সীমানা যত বড়, জানি জুড়ে আছি আমি বেশি তারও’।
উল্লেখ্য, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, অভিনেতা ইমন ও অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির কথোপকথনের সময়, মুরাদকে অশালীন ভাষা ব্যবহার করতে শোনা যায় এবং তাকে শহরের একটি হোটেলে আসার জন্য চাপ দিতে শোনা যায় যেখানে মুরাদ হাসান ছিলেন। সে অস্বীকার করলে মুরাদ তাকে খারাপ কাজ করার হুমকি দেয়। প্রতিমন্ত্রী ইমনকে অভিনেত্রীকে গলা ধরে তার কাছে নিয়ে আসতে বলেন। অভিনেতা ইমন অডিও ক্লিপটি সম্পর্কে বলেন, প্রায় দুই বছর আগে এই কথোপকথন হয়েছিল। এমন ঘটনায় চুপ ছিলেন মাহি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত, তিনি ফোন কথোপকথন সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানান।