শামসুজ্জামান দুদু হলেন বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির এখজন প্রখ্যাত রাজনীতিবীদ। দলের প্রতি অনুগত ও শ্রদ্ধাশীল থেকে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। শামসুজ্জামান দুদু চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে বারবার নির্বাচিত হওয়া একজন সাবেক সংসদ সদস্য। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেন তাহলে জনপ্রিয়তা কতটুকু সেইটা বুঝতে পারবেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশ ভালো নির্বাচন দিলে বুঝবেন তারেক রহমান কোথায়, কতটা জনপ্রিয়।
তিনি বলেন, আমি সরকারকে বলব পদত্যাগ করতে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিলে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে এবং তারেক রহমান ও আমাদের দল ৭০টির বেশি ভোট পাবে। শনিবার (২৩ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকট নিরসনের দাবি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারিক রহমানের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদে তিনি এ কথা বলেন।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি উল্লেখ করে দুদু বলেন, দেশে মজুদ শূন্য, তেল কেনা যায় না, বিদেশ থেকে কিছুই আমদানি করা যায় না। এই সংকটের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে পারে, হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যেতে পারে, দেশ এক ভয়াবহ সংকটের দিকে যাচ্ছে।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, সরকার এখনো সাময়িক বললেও এদেশের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশ ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে। আমরা শুধু এককভাবে ভাবি না, দলগতভাবে ভাবি না, সারাবিশ্ব থেকে, এদেশের মানুষের কাছ থেকে আমরা যে খবর পাই, তাতে বোঝা যায় এই সরকার বেশিদিন টিকতে পারবে না।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের জন্য এদেশের মানুষ এক সাগর রক্ত দিয়েছে। সেই গণতন্ত্র আর নেই। ভোটাধিকার নেই। বাংলাদেশ দুর্নীতির জন্য বিশ্বের অন্যতম স্বীকৃত। এই সরকারের আমলে এত দুর্নীতি হয়েছে। গত ৫০ বছরে এ দেশের মানুষ আর কোনো সরকারের আমলে এমন দুর্নীতি দেখেনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে এদেশের মানুষ গণতন্ত্রকে এতটাই ভালোবাসে যে, এই গণতন্ত্রের জন্য তারা তাদের রক্ত দিয়েছে। পৃথিবীর আর কোনো দেশ গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য এক সাগর রক্ত দেয়নি। এই দেশবাসী কখনই গণতন্ত্রের প্রশ্নে আপস করে না। সরকার সতর্ক না হলে এর মূল্য দিতে হবে। গণতন্ত্র ধ্বংসের পরিণতি হবে নিষ্ঠুর।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে অপমান করা হয়েছে। এই সরকারকে বলুন পদত্যাগ করতে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। ভালো নির্বাচন দিলে বুঝবেন তারেক রহমান কোথায়, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও ধনের শীষ কতটা জনপ্রিয়। তিনি পদ্মসেতু বানিয়েছেন, আরও অনেক কিছু তৈরি করেছেন, দেশের কঠিন সময়ে তিনি নাচছেন। শুধু একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিন এবং দেখুন বিএনপির বক্তব্য সত্য নাকি আপনার বক্তব্য সত্য।
তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। দেশের গণতন্ত্র মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য। জাতীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিন বছর ধরে কারাবন্দী, তাদের ফিরিয়ে আনতে তারেক রহমান নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন, দেশে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া আর কোনো উপায় আছে বলে মনে করি না।
জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, জিনাফের সভাপতি মোঃ আনোয়ার, সেভ পিপল সেভ পিপল মুভমেন্টের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, জাতীয় দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মো. মনির প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, শামসুজ্জামান দুদু চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করে গিয়েছিলেন। তিনি দলের জন্য কাজ করে দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেবার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।