বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে গেলো কয়েক মাস ধরে চলছে নানা ধরনের জল্পনা কল্পনা। তবে ঘটতে যাচ্ছে এর সব কিছু অবসান। জানা গেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে দেশের ২২তম সংসদ সদস্য মনোনীত করেছে আওয়ামী লীগ। সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তাদের মনোনীত প্রার্থীই পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হবেন, এটা প্রায় নিশ্চিত।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে নির্বাচন কমিশনে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সাহাবুদ্দিন চুপ্পুও উপস্থিত ছিলেন।
পাবনার ছেলে। সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর ১৯৪৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবনে তিনি পাবনা জেলা ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৮২ সালে বিসিএস (জুডিশিয়াল) ক্যাডারে যোগ দেন।
বিচারক হিসেবে ২৫ বছর চাকরির পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পরপরই আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়। যাতে ঘটে খুন, ধর্ষণ ও লুটপাট। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে প্রধান করে ওই ঘটনা তদন্তে একটি কমিশন গঠন করে।
২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান পদে তাকে মনোনীত করা হয়।
প্রসঙ্গত, এ দিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যাদের নাম ছিল এগিয়ে তাদেরকে চাপিয়ে গেছেন সাহাবুদ্দিন চাপ্পু। আর এই কারণেই আওয়ামীলীগের সব থেকে বেশি পছন্দের হয়েছেন তিনি।