বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি ঠিক হয়ে গেলো অবশেষে। দেশের নতুন এবং ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন আওয়ামীলীগের পছন্দের প্রার্থী সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।এ দিকে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে আওয়ামী লীগ থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে মনোনয়ন দেওয়ার খবরে পাবনায় আনন্দের বন্যা বইছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন।
অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় এখন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নীরবে দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন।
তার সভাপতি পদে মনোনয়নের খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে। এ সময় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পথচারী ও রিকশাচালকদের শুভেচ্ছা জানান। বিকেল ৪টায় জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন আনন্দ মিছিল বের করে।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম বলেন, সাহাবুদ্দিন চুপ্পু আমাদের অহংকার ও অহংকার। তিনি একজন বিনয়ী এবং সম্মানিত মানুষ। এমন একজনকে রাষ্ট্রপতি মনোনীত করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। এমন খবরে শুধু আমরা নই, গোটা পাবনাবাসী খুশি।
সাহাবুদ্দিন চুপ্পুরের বাল্যবন্ধু ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি বলেন, তার অর্জন আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ আনন্দ। আমি সুখী হয়েছে না। একজন বন্ধু এবং পাবনার বাসিন্দা হিসেবে তার কৃতিত্বে আমি গর্বিত।
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু পাবনা প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সিনিয়র সাংবাদিক হাবিবুর রহমান স্বপন বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বৃহত্তর পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। রাষ্ট্রপতির দায়িত্বশীল পদে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়োগ করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান বলেন, খবরটি শুনে আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত। এটা পুরো জেলার অর্জন।
প্রসঙ্গত, আর কোনো মনোয়ন না থাকায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ক্ষমতাসীন দলের পছন্দের প্রার্থী সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। জানা গেছে খুব শীঘ্রই তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন। আর এর মাধ্যমেই শেষ হয়ে যাবে আব্দুল হামিদের যুগ।