দেশজুড়ে চলমান রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, যা ধারাবাহিকভাবে চলমান রয়েছে। দেশের বেশিরভাগ ইউনিয়নে নির্বাচন কয়েক ধাপে সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। আর এই কারণে আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হতে যাচ্ছে। তাই বর্তমান নির্বাচন কমিশন থাকা অবস্থায় দেশের সমগ্র ইউনিয়ন এবং সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে এই নির্বাচন কমিশনের। এ নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরনের স’হিং’সতার ঘটনা ঘটছে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে। এ ধরনের খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। এই নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সক্রিয় থাকলেও এসকল অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার অর্থাৎ ৫ জানুয়ারি দেশের পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পঞ্চম ধাপের এই নির্বাচনকে ঘিরে দেশের ১৯টি উপজেলায় সহিং’সতার আ’শ/ঙ্কার কথা জানিয়েছে মাঠ প্রশাসন। সহিং’সতা ঠেকাতে ওইসব উপজেলাগুলোতে বিপুল সংখ্যক বিজিবি ও র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। উপজেলাগুলোর কোথাও অতিরিক্ত ২ প্লাটুন বিজিবি, কোথাও এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হচ্ছে। এ ছাড়া র্যাবের অতিরিক্ত টিমও মোতায়েন থাকছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন জেলা প্রশাসন থেকে ভোটের আগে-পরে ১৯টি উপজেলায় সহিং’সতার আশ’/ঙ্কা করে সম্প্রতি অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছে ইসি। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ইতোমধ্যেই প্রত্যেক উপজেলায় র্যাবের ২টি মোবাইল টিম ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স, বিজিবির ২ প্লাটুন মোবাইল টিম ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং কোস্ট গার্ডের ২ প্লাটুন মোবাইল টিম ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যও মোতায়েন আছে।
আগামীকাল (৫ জানুয়ারি) দেশের ৪৮ জেলার ৯৫ উপজেলার ৭০৮টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে যেসব উপজেলায় অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেগুলো হলো- চাঁপাইনবাবগঞ্চ সদর (১ প্লাটুন বিজিব); সাতক্ষীরার আশাশুনি (১ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ২টি টিম), শ্যামনগর (১ প্লাটুন বিজিবি) ও কলারোয়া (১ প্লাটুন বিজিব ও র্যাবের একটি টিম); মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া (২ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ২টি টিম); চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ (২ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ২টি টিম), হাইমচর (২ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ১টি টিম) ও কচুয়া (২ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ২টি টিম); সিরাগগঞ্জের কাজীপুর (১ প্লাটুন বিজিবি); জামালপুরের বকশীগঞ্জ (১ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ১ টি টিম) ও দেওয়ানগঞ্জ (১ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ১টি টিম); চট্টগ্রামের বোয়ালখালী (১ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ২টি টিম) ও চন্দনাইশ (১ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ২টি টিম); মানিকগঞ্জের হরিরামপুর (২ প্লাটুন বিজিবি) ও দৌলতপুর (১ প্লাটুন বিজিবি); ভোলা সদর (১ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ২টি টিম); হবিগঞ্জের মাধবপুর (১ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ২টি টিম) ও চুনারুঘাট (১ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ২টি টিম) এবং টাঙ্গাইলের ঘাটাইল (১ প্লাটুন বিজিবি)।
উল্লেখ্য, সমগ্র দেশের বিভিন্ন জেলায় ইতিমধ্যে চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আর এই ৪ ধাপের নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরনের স’হিং’সতার ঘটনা ঘটেছে, বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি প্রয়াত হয়েছেন এবং প্রায় তিনশো’রও বেশী লোক আহ’ত হয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ষষ্ঠ ধাপের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩১ শে জানুয়ারি এবং পরবর্তীতে সপ্তম ধাপের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে পরবর্তী মাস অর্থাৎ ৭ ফেব্রুয়ারি। এই নির্বাচন শেষ হওয়ার পর নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।