দেশে জ্বালানি তেলের সংকট লাঘব করার জন্য সরকার লোডশেডিংসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে বিদেশ থেকে বিলাসজাত দ্রব্য এবং গাড়ি নিষিদ্ধ করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণকে মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এবার এই সংকট বিষয়ে সমালোচনা করে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিদ্যুৎসহ চলমান নানা সংকট সরকারকে পতনের দিকে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকার চোখে সর্ষে ফুল দেখছে। জনগণ ফুঁসে উঠছে এবং সরকারের পতন তরান্বিত হবে।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের দুর্নীতি, পরিকল্পনার অভাব এবং অযোগ্যতার কারণেই লোডশেডিং ও জনভোগান্তি। এই সংকটের প্রভাব পড়বে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে। শ্রীলঙ্কায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তারই শুরু এখানে।’
দ্রব্যমূল্য, মুদ্রাস্ফীতি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকটের বিরুদ্ধে জনরোষকে ভিন্ন দিকে নিতে পরিকল্পিতভাবে নড়াইলে সা”ম্প্র/’দায়িক হা’/ম”লা করা হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এই ঘটনার সরেজমিনে তদন্ত করার জন্য দলের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে এবং তা জনসম্মুখে প্রকাশ করবে।
সরকার বিশেষ কোম্পানিকে সুবিধা দিতে পাওয়ার প্ল্যান্ট করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘যার মূল কারণ চু’রি ও দুর্নীতি। আর এর মূল্য দিতে হচ্ছে জনগণকে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্থায়ী কমিটির সভায় ওয়াসার পানির দাম এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর কর্তৃক ৫৩টি অত্যাবশকীয় ঔষধের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে ক্ষো”ভ ও নি’/ন্দা প্রকাশ করা হয়েছে। অবিলম্বে পানি ও ঔষধের মুল্য হ্রাসের দাবি জানানো হয়েছে। এই মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি, অঙ্গ সংগঠনসমূহকে মহানগর এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনের তলো”য়ার নিয়ে বক্তব্য অসহায়ত্বের প্রমাণ। এ কমিশনের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয়।’
গত ১৬ জুলাই রাতে সার্বিয়া থেকে বাংলাদেশে ম/”র্টা”র শেল নিয়ে আসার সময় ইউ’/’ক্রেনের একটি কার্গো বিমান ভেঙ্গে পড়ায় হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় বিএনপির সভায়।
বন্যার কারণে স্থগিত দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম পুনরায় শুরুর কথা জানান বিএনপি মহাসচিব।
উল্লেখ্য, বিএনপি নির্বাচনে না যাওয়ার কথা বললেও দলটি তাদের নিজেদের দল গোছানোর কাজ পুরোপুরি শুরু করে দিয়েছে। বিএনপির দাবি করেছে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে কোনভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, তাই কারচুপির নির্বাচনে না যাওয়ায় শ্রেয়। আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলেছে বলে জানিয়েছে দলের নেতারা।