চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসার কারনে অনেক সময় দেখা যায় নানা ক্ষতির সম্মুক্খিন হন চিকিৎসা প্রার্থীরা। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ভুল চিকিৎসায় ডাঃ সিআইপি আমিনুল হক শামীমের বড় মেয়ের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। দীপক নাগের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সকালে মামলার শিকার মাহজাবীন হক মশার ছোট ভাই এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মো. সামিউল হক সাফা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মো. সামিউল হক সাফা বাদী হয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন। এ সময় বিচারক আব্দুল হাই অভিযোগটি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তি অধ্যাপক ডাঃ দীপক নাগ ঢাকার সোবহানবাগ এলাকার ডিন। চক্ষু চিকিৎসা হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্রের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা.
ভুক্তভোগী ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক ও সিআইপি মোঃ আমিনুল হক শামীমের বড় মেয়ে মাহজাবীন হক মশা।
বাদীর অভিযোগ, মাশার চোখের সমস্যার কারণে গত জুন মাসে চক্ষু হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্রের চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীপক নাগের চিকিৎসা নেয়। এ সময় তিনি মাশার চোখে লেজার প্রতিস্থাপন করেন। তবে লেজার লাগানোর পর ভুক্তভোগী মাশা চোখে অন্ধকার দেখতে শুরু করেন। পরে ভুক্তভোগীকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অপথালমোলজি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান, লেজার বসানোর কারণে তার চোখের রেটিনার ৩৩ শতাংশ স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর আরও চিকিৎসার জন্য ভিকটিমকে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, ভুল চিকিৎসার কারণে মাশার চোখের রেটিনার ৩৩ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে।
মামলার বাদী সামিউল হক সাফা বলেন, অতিরিক্ত লেজারের কারণে আমার বোনের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে ড. দীপক নাগের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়নি।
চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় চোখ নষ্ট হয়ে গেছে সিআইপি আমিনুল হক শামীমের বড় মেয়ের। এই বিষয় নিয়ে বর্তমানে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তবে এব্যপারে কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন জানান, বুধবার বিকেলে আদালতের নির্দেশনা পেয়ে মামলা নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।