Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / দেশের লোডশেডিংএর কারন জানালেন প্রধানমন্ত্রী

দেশের লোডশেডিংএর কারন জানালেন প্রধানমন্ত্রী

রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান সংকটই সারা বিশ্বে তেলের দাম বৃদ্ধির কারন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনেক দেশ এখন বিদ্যুতের জন্য হাহাকার করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বেড়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়া সংকটের কারণে পরিবহন খাতে সমস্যা হচ্ছে। আগের মতো জাহাজ চলাচল করতে পারছে না। শুধু আমাদের দেশেই নয়, সব দেশেই এখন এসবের অভাব। সেখানে আমরা যদি একটু মিতব্যয়ী হই, নিজেদের সঞ্চয় বাড়াতে পারি, তাহলে যেকোনো সমস্যা মোকাবিলা করা যায়। অন্য কথায়, প্রতিটি পরিবার যদি সঞ্চয় করে, তবে আমরা নিজেরাই কিছু করতে পারি।

রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের কারণে বিশ্বজুড়ে তেলের দাম বেড়েছে এবং অনেক দেশ এখন বিদ্যুতের জন্য হাহাকার করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে বিদ্যুৎ উৎপাদন সরঞ্জামের দাম হু হু করে বেড়েছে। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড রেজিমেন্টের ৪৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা সেনানিবাসের পিজিআর সদর দফতরে যোগ দেন। শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে প্রাণনাশের পর বাংলাদেশে যাদের বিচার শুরু হয়েছিল, সেই স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধীদেরই ক্ষমতায় আনা হয়েছিল। তাছাড়া যারা জাতির পিতাকে প্রাণনাশ করেছে তাদেরও বিচার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে এবং তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ক্ষমতায় থাকার কারণে সেনাবাহিনীতে ১৯টি অভ্যুত্থান হয়েছে এবং অনেক সেনা সদস্য, সৈনিক ও অফিসার প্রয়াত হয়েছেন।

একটা সময় ছিল যখন কর্মকর্তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলার শিকার হন। অনেক স্ত্রীকে প্রাণনাশ করা হয়েছে, পরিবারকে প্রাণনাশ করা হয়েছে। এমন ঘটনা একের পর এক ঘটছে। বাংলাদেশে প্রতি রাতে কারফিউ জারি করা হয়। মানুষের কোনো অধিকার ছিল না। মানুষ স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারছে না। এমন পরিবেশ বাংলাদেশে ছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ২১ বছর পর সরকার গঠন করেছে। ১৯৭৫ সালে, আমার ছোট বোন বিদেশে ছিল। একাত্তরে আমাকে দেশে ফিরতে দেওয়া হয়নি। জোর করে দেশে ফিরতে হয়েছে। কোথায় প্রাণানাশকারীদের রাজত্ব, কোথায় অপরাধীদের রাজত্ব। আমি জানতাম ওরা যেকোন সময় আমাকে মেরে ফেলতে পারে। আমি পাত্তা দিইনি। আমি মানুষের জন্য ফিরে আসি। প্রত্যাবর্তনের পর থেকে আমার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ যেখানে আমার বাবা নিজ হাতে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনী গড়ে তুলেছিলেন।

উল্লেখ, তিনি বলেন, অনেক উন্নত দেশে অবশ্য দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে। আমাদের দেশ যাতে এমন পরিস্থিতিতে না পড়ে, সে জন্য এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। কোনো জলাধার খালি রাখা উচিত নয়। যার যতটুকু স্থান আছে সে ততটুকুই কিছু উৎপন্ন করবে যতটুকু স্থান আছে। অন্তত নিজের খাবার নিজে সংগ্রহ করার চেষ্টা করুন যাতে বাজারের চাপ না থাকে। উদ্বৃত্ত থাকলে তা বিক্রি করে লাভবান হওয়ার জন্য সবাইকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

 

About Syful Islam

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *