বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ খারাপ। দিন দিন কমে যাচ্ছে দেশের রিজার্ভ।আর এই নিয়ে এখন দেশে তৈরী হচ্ছে বড় শংকা। এ নিয়ে এবার অশনি সংকেত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন,‘আমাদের রিজার্ভের যে অবস্থা, জানি না সামনে কী হবে’
রোববার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, আমরা বর্তমানে এলএনজি আমদানি করছি না। এই সময়ে ২৫ ডলার হারে এলএনজি আমদানি করলেও চাহিদা মেটাতে অন্তত ছয় মাস কেনার মতো পরিস্থিতি আছে কিনা জানি না। আমাদের এখন মিতব্যয়ী হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। প্রয়োজনে দিনের বেলায় বিদ্যুতের ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা যোগ করেন, “ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ কখন শেষ হবে তার ভবিষ্যত সম্পর্কে আমাদের কিছু ধারণা থাকলে আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিতাম।”
তিনি বলেন, আমরা এসি বন্ধ করে বিদ্যুৎ খরচ কমাতে পারি। সারা দেশে যে পরিমাণ এসি চলে তার চাহিদা রয়েছে ৫ থেকে ৬ হাজার মেগাওয়াটের। আমরা এসি বন্ধ করব বা কম চালাব। এতে দুই থেকে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। গ্যাস সাশ্রয় হবে। লোড কমাতে সবাই রাজি হলে কিছু গ্যাস ছাড়া হবে।
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, কৃষি ও শিল্পে আরও বিদ্যুৎ দেওয়ার চেষ্টা করব। প্রয়োজনে অন্যরা বিদ্যুৎ খরচ কমাবে। যুদ্ধের সময় আমাদের কিছুই ছিল না। আমরা এখনও যাচ্ছি. তারপরও পারি আমরা শপথ নেব, প্রয়োজনে দিনের বেলা কোনো বিদ্যুৎ ব্যবহার করব না।
এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুক হাসান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বিদেশ থেকে প্রতিনিয়ত দেশে প্রবাসীরা টাকা পাঠালেও রিজার্ভ ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। দেশের অর্থনীতির গতি বাড়িয়ে রাখতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। তবে এ নিয়ে এখনো হয়নি কোন সুরাহা।