জুনাইদ আহমেদ পলক হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী। এই সম্মানীয় পদে অধিষ্ঠিত হবার পর থেকে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশের নাটোর জেলার ৩ আসন থেকে নির্বাচিত হওয়া সবথেকে কনিষ্ঠ সংসদ সদস্য। জুনাইদ আহমেদ পলক মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করার পর বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বেশ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন সরকারি দপ্তর এখন সবার বাড়িতে।
দেশের মানুষকে এখন আর সরকারি অফিসে যেতে হবে না সেবা নিতে, সরকারি অফিস সবার ঘরে পৌঁছে গেছে,” বলেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।তিনি বলেন, প্রযুক্তির প্রসারে জমির পরচা তোলা থেকে শুরু করে পরীক্ষার ফরম পূরণ, বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার মতো কাজে জেলা ও উপজেলায় যেতে হয় না। এখন ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে বসে এসব কাজ করা যায়।
স্কুল-কলেজের শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের মাধ্যমে আমাদের ছেলে-মেয়েরাও আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে বলে জানান পলক।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের রঘুনাথপুর মহাবিদ্যালয় মাঠে ‘জনগণের সভা জনপ্রতিনিধি’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে বিদ্যালয়ের মাঠে বৃক্ষ রোপণ করা হয় এবং শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব পরিদর্শন করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে জনপ্রতিনিধি সততা ও সৎ সাহস রাখে সে জনগণের সামনে দাঁড়াতে পারে। জনগণের করের টাকায় জনপ্রতিনিধিদের বেতন-ভাতা, যাবতীয় কর্মকাণ্ড চলে। তাই জনগণের সেবা করা জনপ্রতিনিধিদের পবিত্র দায়িত্ব। সাংসদ শিবলী সাদিক সততা ও সৎ সাহস নিয়ে জনতার আদালতে দাঁড়িয়ে জনগণের সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৩ বছরে ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছেন, আগামী শেখ রাসেলের জন্মদিনে ৫ হাজার ডিজিটাল ল্যাব উদ্বোধন করবেন এবং ৩০০ শেখ রাসেল স্কুলের উদ্বোধন করবেন। ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হবে।
দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক অনুষ্ঠানে উন্মুক্ত মুখোমুখি প্রশ্নোত্তর পর্বে সাধারণ মানুষের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। মুখোমুখি কর্মসূচিতে কৃষক, নারী কর্মী, শিক্ষক ও গণমাধ্যমকর্মীরা এমপি শিবলী সাদিককে সরকারি বরাদ্দের সঠিক ব্যবহার, সরকারি প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ, ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রম তৃণমূলে ছড়িয়ে দেওয়াসহ করণীয়, সেচ, সার, গ্রামীণ রাস্তা পাকা করার জন্য ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা সম্পর্কে জানতে চান।
প্রসঙ্গত, একটি দেশের তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবস্থা যদি উন্নত অবস্থায় থাকে তাহলে সেই দেশ পারিপার্শ্বিক অবস্থার অনেক অগ্রগতি হয়ে থাকে। কেননা বর্তমান যুগ হলো ইন্টানেটের যুগ। বলতে গেলে সব ধরনের কাজ এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুব সহজে করা হয়। ইন্টারনেট ছাড়া বিশ্বের অগ্রগতি কোনোভাবেই সম্ভব না। আর সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই জুনাইদ আহমেদ পলক কাজ করে যাচ্ছেন।