দেশের মাটিতে পা রেখেই তারেক রহমানকে নিয়ে যে তথ্য দিলেন সালাহউদ্দিন

দুই সপ্তাহের লন্ডন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিষয়ে তথ্য দেন।

রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে দেশে ফিরে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “তারেক রহমান অবশ্যই দেশে ফিরবেন। তবে, তার ফেরার জন্য আমরা এখনও যথাযথ পরিবেশ তৈরি করতে পারিনি। সামান্য কিছু সময় লাগবে, কিন্তু তিনি অবশ্যই আসবেন।”

তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আপনারা ধীরে ধীরে সব জানতে পারবেন। তবে, তারেক রহমান জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন এবং ঐক্যের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন।”

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী যে জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে, তার বাস্তবায়নে আমাদের দ্রুত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যেতে হবে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটি সঠিক রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থানকে আমরা স্বাগত জানাবো, তবে তা যেনো কিংসপার্টির মতো না হয়।”

সংবিধান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সংবিধানকে কবর দেয়া যায় না। এটি পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন হতে পারে।”


অবৈধ সম্পদ অর্জন, তাপস ও তার স্ত্রীর নামে মামলা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এবং তার স্ত্রী আফরিন তাপসের বিরুদ্ধে প্রায় ৮০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা দায়ের করেছে।

রোববার, দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এই মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আক্তার হোসেন বলেন, “ঢাকা-১০ ও ঢাকা-১২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে, তিনি নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭৩ কোটি ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করেছেন।”

তিনি আরও জানান, “ফজলে নূর তাপস ২০১৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে নিজের ২৭টি ব্যাংক একাউন্টে ৩০৪ কোটি ৩৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫২৮ টাকা জমা এবং ২৩৪ কোটি ৮২ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫০ টাকা উত্তোলন করেছেন, যার ফলে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৩৯ কোটি ১৬ লাখ ২৫ লাখ ২৭৮ টাকা। একইসাথে, তিনি ৫ লাখ ১৭ হাজার ৫২৭ মার্কিন ডলার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন।”

দুদক জানিয়েছে, “ফজলে নূর তাপস মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন, কারণ তিনি জান deliberately অবৈধ অর্থের স্থানান্তর ও হস্তান্তর করেছেন।”

এছাড়া, মামলায় ফজলে নূর তাপসের স্ত্রী আফরিন তাপসকেও আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, “আফরিন তাপস তার স্বামী শেখ ফজলে নূর তাপসের সহায়তায়, আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬ কোটি ৪০ লাখ ৮৯ হাজার ৯৮ টাকা মূল্যের সম্পদ মালিকানা অর্জন করেছেন। তার ৯টি ব্যাংক একাউন্টে ৭০ কোটি ৮৯ লাখ ৯৩ হাজার ৬৬৯ টাকা লেনদেন হয়েছে। এর পাশাপাশি, তিনি ২ লাখ ২ হাজার ২৫৯ মার্কিন ডলার জমা ও ১ লাখ ৯৩ হাজার ৭০৪ মার্কিন ডলার উত্তোলনসহ মোট ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৯৬৩ মার্কিন ডলার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন।”