সম্প্রতি সারা দেশে টাকা পাচার নিয়ে উঠছে নানা ধরনের কথা। বিশেষ করে দেশের ব্যাংক গুলোতে টাকা নেই বা টাকা হচ্ছে পাচার এ নিয়ে যেন শেষ নেই আলোচনার। এবার এ নিয়ে কথা বলেছেন দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল। তিনি বলেছেন,সরকার দেশের বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে টাকা বিদেশে পাচার করছে।
তিনি বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। সরকার দেশের কথা না ভেবে বিদেশে টাকা পাচার করছে। তারা দেশের জনগণকে বিশ্বাস করে না। তারা নিজেরাই বেরিয়ে যাবে।
বৃহস্পতিবার গণফোরাম আয়োজিত সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।
ড. কামাল বলেন, টাকা পাচারের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ করতে হবে। সবাইকে সংগঠিত করে জাতীয় অর্থনীতিকে রক্ষায় পাহারা দিতে হবে। ব্যাংক থেকে কোথায় টাকা যাচ্ছে, কীভাবে যাচ্ছে- এসব বিষয়ে খোঁজখবর রাখতে হবে। প্রয়োজনে এসব অনিয়ম বন্ধ করতে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যকে গুরুত্ব না দিলে জাতীয় অর্থনীতিকে বাঁচানো যাবে না উল্লেখ করে গণফোরাম সভাপতি বলেন, অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙ্গে পড়লে বেকারত্ব বাড়বে, আয় কমে যাবে, ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে, অর্থাৎ। সবাই সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের দ্রুত ঐক্যবদ্ধ হয়ে এসব নেতিবাচক ও অসামাজিক কার্যকলাপ, বিশেষ করে দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ করতে হবে।
সব ক্ষেত্রেই অব্যবস্থাপনা, দলীয়করণ ও দুর্নীতির কারণে দেশ এক ভয়াবহ সংকটের দিকে যাচ্ছে। কামাল বলেন, দেশের কিছু দুর্নীতিবাজ ও স্বার্থান্বেষী মহলের জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ও অর্জন বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্যাংয়ের সুযোগ নিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করা হচ্ছে। সরকার তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। ফলে অর্থপাচার, লুটপাট মহামারী আকার ধারণ করছে। তিনি আরও বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সকল রাজনৈতিক দল ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্যমত গড়ে তুলতে হবে।
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সদস্যপদ নবায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এ সময় গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান, এসএম আলতাফ হোসেন, মোশতাক আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ দিকে তার এই মন্তব্য নিয়ে এখন সরকার দলে শুরু হয়েছে নানা ধরনের আলচনা। সকলে বলছেন এমন ধরণের কথা তার মত ব্যক্তির কাছ থেকে শোভা পায় না।