Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / দেশের বদনাম করতে কাকে ভাড়া করেছে বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর এই কথার জবাব দিলেন খন্দকার মোশাররফ

দেশের বদনাম করতে কাকে ভাড়া করেছে বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর এই কথার জবাব দিলেন খন্দকার মোশাররফ

বাংলাদেশের রাজনৈতিক আলোচনা সমালোচনা যেন থামছেই না। একের পর এক ঘটনার কারনে বার বার আলোচনায় থাকছে দুই দল। সম্প্রতি জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দিয়েছেন। এ সময় তিনি বলেছেন দেশের বদনাম করার জন্য বিএনপি ভাড়া করেছে লোক। এবার এই কথার জবাব দিয়েছে বিএনপি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘বিএনপি দেশকে বদনাম করতে ভাড়াটে লোক নিয়োগ করছে’ এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘দেশের বদনাম করতে কাকে নিয়োগ করেছি তার নাম-ঠিকানা জানতে চাই।’

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘মহান বিজয় দিবস ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, “আজকের আলোচনা সভায় অনেকেই কথা বলেছেন। খারাপ হলে এটা তাদের দোষ নয়। আমরা কাউকে নিয়োগ করিনি। জাতীয়তাবাদী দলগুলো কাউকে নিয়োগ দেয় না। তাই আমরা কাকে নিয়োগ দিয়েছি তা জানতে চাই।

বিএনপি নয়, আওয়ামী লীগ সব সময় দেশের বদনাম করে আসছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের বদনাম করছে। মুক্তিযুদ্ধের পর গণতন্ত্রকে হত্যা করে বিক্রি করা হয়। তারপরও সারা বিশ্বে এ দেশের বদনাম ছড়িয়ে পড়ে। এই সরকার সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির পরিবর্তে লুণ্ঠনের অর্থনীতি গড়ে তুলেছে। এতে দেশের বদনাম হচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করে ২০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়। আজকের গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা- এসব দেশে-বিদেশে প্রচারিত হয়েছে। এটি খ্যাতি অর্জন করেনি, কিন্তু খারাপ খ্যাতি পেয়েছে।

তিনি বলেন, “আজ বাংলাদেশ বাকশাল নয়, অলিখিত বাকশাল চলছে। গত ১৪ বছর ধরে তারা ক্ষমতায় রয়েছে। তারা ভোট না দিয়ে ক্ষমতা প্রয়োগ করে, ভোটাধিকার বঞ্চিত করে। আমরা যদি ১৪তম নির্বাচনের কথা বলি- আমরা বয়কট করেছি। আমি বয়কট করেছি। 153টি আসন। 2018 সালে রাতে ভোট চুরি হয়েছে। এটা আমাদের কথা নয়, জাপার রাষ্ট্রদূত বললেন এর সুনাম আছে? বিএনপি কি এনেছে?’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভাড়াটিয়া রাখার দরকার নেই। বাংলাদেশে র‌্যাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেন দিল? র‌্যাবকে দিয়ে সরকার অনৈতিক এবং ক্ষমতায় থাকার নির্দেশ দিয়েছে। আদেশ অনুসরণ করে ছয় শতাধিক গুম এবং হাজারের বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড।

“বাংলাদেশকে আর গণতান্ত্রিক দেশ বলা হয় না,” খন্দকার মোশাররফ বলেন, “এই সরকার বাংলাদেশের বদনাম বয়ে এনেছে।” আজকের বাংলাদেশকে আর গণতান্ত্রিক দেশ বলা হয় না। আমেরিকায় একটি গণতান্ত্রিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এর ব্যাখ্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বাংলাদেশ আর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নয়। এটি হাইব্রিড বাংলাদেশ। কুখ্যাত হলে এটা বিএনপির কোনো ভাড়াটিয়া করেনি। একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র করেছে।

তিনি বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে যা খুশি তাই করছে। কিভাবে তাদের লুকান? যখনই আমরা সমাবেশ করি, সরকার আমাদের দমন করার জন্য ভাড়াটে লোক নিয়োগ করে। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে যা হয়েছিল, আমি একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর কাছ থেকেও দেখিনি। তারপরও আমরা সমাবেশ করেছি। আমাদের প্রধান দাবি এই সরকারের পতন।

আলোচনা সভায় আরও ছিলেন- বিএসপিপির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এ জেড এম জাহিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের আহ্বায়ক প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান খান, বিএসপিপি সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীসহ পেশাজীবী পরিষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সদস্যবৃন্দ।

প্রসঙ্গত, এ দিকে বেশ কিছু বছর পর আবারো বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন করে হওয়া দিয়েছে বিএনপি। তারা গেলো বেশ কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের বিভাগ ও জেলাগুলোতে করেছে সম্মেলন। গেলো ১০ তারিখে তারা ঢাকায়ও করেছিল বড় একটি সমাবেশ।

About bisso Jit

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *