দেশে ডলারের সংকট দিন দিন প্রকট হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিদিন মুদ্রাবাজারে মার্কিন মুদ্রা বিক্রি করছে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমাগত কমছে। যা ইতিমধ্যে ১৯.৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মান অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ এখন ১৯ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী এর পরিমাণ ২৫ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে গত এক বছরে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় প্রায় ৯ বিলিয়ন কমেছে।
কার্যদিবসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি মাসের শুরুতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। সাম্প্রতিক সময়ে চড়া দামে রেমিটেন্স কিনছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। ফলে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭.৮ বিলিয়ন ডলারে।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। ফলে রিজার্ভ আবার কমতে শুরু করেছে। গত ১ সপ্তাহে যা কমেছে প্রায় ১১৮ মিলিয়ন ডলার। আইএমএফ সূত্রে বিপিএম-৬ অনুযায়ী দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ১৯ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের শুরুতে দেশের মোট রিজার্ভ ছিল ২৯.৭৩ বিলিয়ন ডলার। আর BPM-৬ অনুযায়ী ছিল ২৩.৩৭ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ মাত্র ৫ মাসে প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নেট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব আছে। যা শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়, প্রকাশ করা হয়নি। সে হিসেবে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে। এর মাধ্যমে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।
সাধারণত, একটি দেশের আমদানিকৃত পণ্যের ন্যূনতম ৩ মাস মূল্যের সমান মজুদ থাকা উচিত। বাংলাদেশ এখন সেই মানদণ্ডের তলানিতে। উল্লেখ্য যে একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল সূচক হল রিজার্ভ।