সাম্প্রতিক সময়ে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে স্বল্পআয়ের মানুষেরা বড় ধরনের সংকটে পড়েছে। তাদের বেশির ভাগ আয় করা অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ পণ্যদ্রব্য ক্রয়ে। এদিকে অনেক রাজনৈতিক দল এই বিষয়টিকে ইস্যু করে মাঠ গরমে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। যে সমস্ত দল সরকার পতনের জন্য উঠে-পড়ে লেগেছে তাদের জন্য এটিকে একটি বড় ধরনের ইস্যু করার চেষ্টা করছে। এবারে বিষয়ে কথা বলেছেন নতুন গঠিত রাজনৈতিক দল গণপরিষদের সদস্য সচিব গনঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর।
সরকারের পতন ছাড়া এ জাতির মুক্তি হবে না। জাতির মুক্তির জন্য বঙ্গভবন ও গণভবন দখল করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন নূর।
তিনি বলেন, মন্ত্রিসভায় নাকি আলোচনা হয়, দেশের এমন বারোটা বাজিয়ে যাব ওরা ক্ষমতায় এসে দেশ চালাতে পারবে না। কিন্তু আজ দেশকে সে দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর ভবনটি যেভাবে দখল করা হয়েছিল, বাংলাদেশে এখন সেটা সেদিকেই যাচ্ছে। তাই এদেশের জনগণকে এর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। জাতির মুক্তির জন্য বঙ্গভবন ও গণভবন দখল করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজ মানুষের মনে ক্ষো”ভ। সরকার জোর দিয়ে বলছে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ নয়। তাই তাদের লোকজন নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। সরকার বুঝতে পারছে, তারা বিদায় নিলে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই তারা নির্বিচারে মানুষের ওপর গু/”লি চালাচ্ছে। এই সরকারকে আর সুযোগ দেওয়া যাবে না।
নূর বলেন, জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে আমরা যে কৃষি উৎপাদনে বেঁচে আছি তা ব্যাহত হবে। কৃষিপণ্যের দাম বাড়ায় কৃষক উৎপাদন করতে পারবে না। কৃষক ও প্রান্তিক মানুষ কৃষিকাজ ছেড়ে শহরে চলে যাচ্ছে। তারা গার্মেন্টসসহ ছোট ছোট কারখানায় কাজ করছেন।
নুরুল হক নুরু বলেন, সরকার জানে ক্ষমতা হারানো মানেই তাদের অস্তিত্ব শেষ। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে জনগণের বুকে গু”/লি করে প্রয়োজনে কামান দিয়ে বিরোধীদলকে মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই ফ্যাসিবাদের অবসান ঘটানো এবং দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করাই সব বিরো’ধী দলের অভিন্ন লক্ষ্য।
তিনি বলেন, এক মাসের মধ্যে খোলা বাজারে ডলারের দাম ৮৪ টাকায় হয়েছে ১২১ টাকা। প্রতি বছর দেশ থেকে পাচার হচ্ছে ৭৫ হাজার থেকে ১ লাখ কোটি টাকা। অর্থ পাচারের কোনো তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে নেই। সুইস ব্যাঙ্কে কারা টাকা রেখেছে তার তথ্য চাইবে বলে জানিয়েছে সরকার। কিন্তু গতকাল সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, বাংলাদেশের কাছ থেকে কোনো তথ্য চাওয়া হয়নি। কিন্তু প্রতিবছরই অর্থা পাচা’রের হার বাড়ছে।
এদিকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম ব্যাপক হারে বাড়তে শুরু করেছে। সেদিক থেকে বর্তমান সরকারকে দোষারোপ করছে সাধারণ মানুষ। রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাসীন দল এই বিষয় নিয়ে বিপাকে পড়েছে। যে কারণে দলটির জনপ্রিয়তা কমে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।