বিদেশে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে। কিন্তু একজন মন্ত্রী নির্বাচনী হলফনামায় তা উল্লেখ করেননি। মঙ্গলবার এমন তথ্য প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ টিআইবি। তবে মন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেনি সংগঠনটি। টিআইবির পক্ষ থেকে বলা হয়- সরকারি কোনো কর্তৃপক্ষ সে তথ্য জানতে চাইলে তা প্রকাশ করা হবে। দুর্নীতিবিরোধী এই সংস্থার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মন্ত্রীর নাম জানা গেছে। তিনি ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মন্ত্রী ও তার স্ত্রীর মালিকানাধীন ছয়টি কোম্পানি এখনও সক্রিয়ভাবে বিদেশে আবাসন নির্মাণ (রিয়েল এস্টেট) ব্যবসা পরিচালনা করছে। যেগুলোর মূল্য ১৬ কোটি ৬৪ লাখ পাউন্ড বা ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। মন্ত্রী হলফনামায় বিদেশে থাকা সম্পদের তথ্য প্রকাশ করেননি।
প্রকাশিত তথ্যমতে, মন্ত্রী ও তার স্ত্রীর মালিকানাধীন ছয়টি কোম্পানি এখনো বিদেশে সক্রিয়ভাবে আবাসন নির্মাণ (রিয়েল এস্টেট) ব্যবসা পরিচালনা করছে। সেগুলোর মূল্য ১৬ দশমিক ৬৪ কোটি পাউন্ড বা ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা। মন্ত্রী তার হলফনামায় বিদেশে থাকা সম্পদের ব্যাপারে তথ্য দেননি।
মঙ্গলবার টিআইবি’র সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মন্ত্রী ২০১০ সালে প্রথমে একটি কোম্পানি খোলেন, যার বর্তমান সম্পদ মূল্য ১ দশমিক ৭৩ কোটি পাউন্ড। এরপর ২০১৬ সালে আরেকটি কোম্পানি খোলেন, যার বর্তমান সম্পদ মূল্য ৭ দশমিক ৩১ কোটি পাউন্ড।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রীর নাম জানতে চাইলে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যেহেতু তথ্যটি গোপনীয় এবং তিনি (মন্ত্রী) নিজে তা প্রকাশ করেননি। এ কারণে তার নাম প্রকাশ করা টিআইবির এখতিয়ারের বাইরে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আখতারুজ্জামান চৌধুরীর আকস্মিক মৃত্যুতে উপ-নির্বাচনে তার বাবার আসনে এমপি হন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। পরে দশম ও একাদশ সংসদে আনোয়ারা আসন থেকে এমপি হন তিনি। গত ৫ বছর ধরে তিনি ভূমিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ৫ বছর একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।