দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের মানুষের কষ্ট দূর্ভোগ বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য চাল, ডাল, আটা, পিয়াঁজ, সয়াবিনসহ অনেক কিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারন মানুষের কষ্ট দূর করতে দেশের সরকার ( Government ) ব্যবস্থা নিতে টিসিবি ( TCB ) মাধ্যমে আগের থেকে আর বেশী পন্য সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ অর্থাৎ (১৫ মার্চ ( March )) প্রধানমন্ত্রী আজ তার সরকার ( Government )ি বাসভবন গণভবনে দলের নেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে এক কোটি মানুষকে বিশেষ কার্ড দেওয়া হবে। যার মাধ্যমে সাধারন মানুষ ন্যায্য মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যদ্র্র্র্রব্য ক্রয় করতে পারবে।
বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পরা মহামারী চলাকালীন ৩.৮ মিলিয়ন মানুষ ইতিমধ্যে আর্থিক সহায়তা পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এর মধ্যে আরও অনেককে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং শেষ পর্যন্ত মোট এক কোটি মানুষ এই কার্ড পাবে।”
তিনি উল্লেখ করেন যে ৫০ লাখ মানুষকে ইতিমধ্যে কার্ড দেওয়া হয়েছে যাতে তারা ১০ টাকায় চাল কিনতে পারে।
ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে আমি একটি টাস্কফোর্স গঠনের কথা বলেছি। কোনো হোল্ডিং আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মজুদকৃত তেলের।
সরকার ( Government )প্রধান বলেন, ভোজ্যতেলের ওপর ভ্যাট কমানোর বা কিছু সমন্বয় করার নির্দেশ দিয়েছি। যাতে রমজান মাসে কোনো সমস্যা না হয়।
“কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে খুব একটা কিছু করার থাকে না। তাহলে আপনাকে একটু সমঝোতা করতে হবে,” তিনি বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৃষ্ট সংকট (ইউক্রেনে ( Ukraine ) রাশিয়ার আগ্রাসনের) কারণে পরিবহন খরচ অর্থাৎ কার্গো ভাড়া অনেক বেড়ে গেছে। কারণ, আমাদের সয়াবিন তেল আসে ব্রাজিল ( Brazil ) থেকে আর পামওয়েল আসে মালয়েশিয়া থেকে।
দেশ এখন ৯০ শতাংশ ভোজ্য তেলের ওপর নির্ভরশীল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের বিজ্ঞানীরা এরই মধ্যে বছরের কয়েকটি বীজ আবিষ্কার করেছেন যেগুলো ভালো উৎপাদন করবে। আগামী কয়েক বছরে পেঁয়াজ আর আমদানি করতে হবে না, রপ্তানি করতে পারব। বিজ্ঞানীরাও এ নিয়ে কাজ করছেন।
“আমাদের এমন একটি অবস্থানে যেতে হবে যেখানে আমরা সবকিছু উত্পাদন করতে পারি এবং আমাদের নিজস্ব চাহিদা মেটাতে পারি,” তিনি বলেছিলেন। আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি কারো উপর নির্ভরশীল না হতে।
সরকারের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের কাছে এখনো ১৮ লাখ টন খাদ্য মজুদ আছে। কোনো সমস্যা নেই।
ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি এ সময় বলেন, কারুর এত জমি অনাবাদি থাকবে না, সে যা পারবে ফল দেবে। প্রতিটি এলাকা কিছু না কিছু উত্পাদন করবে। এটাই আমার লক্ষ্য। যাতে আমরা খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে পারি।
অমর একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিতে, জাতির পিতার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে আন্তর্জাতিক দলিলপত্রে অন্তর্ভুক্ত করতে এবং সর্বশেষ জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করতে তাঁর সরকার গৃহীত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জয় বাংলা’ আমাদের স্লোগান। যারা স্বাধীনতার চেতনাকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল তাদের এক এক করে উজ্জীবিত করে সামনে আনতে সক্ষম হয়েছি।
প্রসঙ্গত, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রন করতে সরকার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে এটাই জনসাধারনের দাবি। দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রন করতে সরকার যে উদ্যেগ গ্রহন করেছে সব শ্রেনীর মানুষ তার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছে। দ্রুততর সময়ের মধ্যে দ্রর্যমূল্য কমানোর মাধ্যমে সাধারন মানুষের ভোগাক্তি দূর হবে এটাই সকলের প্রত্যাশা।