বাংলাদেশে প্রচারিত পত্রিকা গুলো নিয়ে এবার কথা বলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানিয়েছেন দেশের কয়েকটি পত্রিকা বিভ্রান্তিকর শিরোনাম দিয়ে সংবাদ প্রকাশ। ক’রো’না’ ম’হা’মা’রী’ ও রা’শি’য়া-ই’উ’ক্রে’ন যু’দ্ধে’র কারণে বিশ্বব্যাপী সৃষ্ট সংকটে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।
দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদন ও সিপিডির প্রতিবেদন নিয়ে বিএনপির রুমিন ফারহানার প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে এমন কিছু লোক আছে। তারাই সম্মানিত সদস্য কর্তৃক উল্লেখিত ব্যক্তি। তিনি যে ম্যাগাজিনের নাম দিয়েছেন তার মধ্যে একটি পত্রিকা আমি কখনো পড়িনি। পড়ি না এই কারণে যে তারা সবসময় উল্টো দিকে থাকে। তারা কখনই চায় না বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকুক। তারা একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি পছন্দ করে। এটি পছন্দ করে এই জন্য যে এটি তাদের ভাল বোধ করায়,এবং সেই সাথে তাদের কদর বাড়ায়। আর যে প্রতিষ্ঠানটির কথা বলেছেন, এই প্রতিষ্ঠানটি কোন জায়গা থেকে হিসাব পায় জানি না। এই হিসাব তাদের কখনোই সঠিক হিসাব হয় না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি অস্বীকার করছি না যে বাংলাদেশে দাম বেড়েছে। আজ সারা বিশ্বে দ্রব্যমূল্য যেভাবে বেড়েছে তা দেখলে বাংলাদেশে তা হয়নি। দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা ভর্তুকি দিয়ে যারা কম দামে কিনতে পারছেন না তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিরোনাম দিয়েছেন- বাংলাদেশে পণ্যের দাম অন্য সব দেশের চেয়ে বেশি! কিন্তু ভিতরে দেওয়া তথ্য বাংলাদেশ হিসেবে দেখা যাচ্ছে না। কয়েকটি দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা ভালো। এভাবেই তারা কারসাজি করে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কিছু সংবাদপত্র এখন এমনভাবে শিরোনাম করে যা বিভ্রান্তিকর। জাতি দেখুক এটা ঠিক নয়। তারা সঠিক তথ্য দেয় না। বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়।’
বক্তব্ব্যর এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিপিডির নাম উল্লেখ না করে বলেন, তিনি (রুমিন ফারহানা) যে প্রতিষ্ঠানের কথা বলেছেন, সেই প্রতিষ্ঠানই তাই বলে। তারা কিছুই পছন্দ করে না। তারা পছন্দ করে, যখন সামরিক শাসন ছিল, যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল। কারণ এতে তাদের মান কিছুটা বাড়বে। তারা এই আশায় বসে থাকে, এটাই বাস্তবতা।