সাধন চন্দ্র মজুমদার হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী। এই সম্মানীয় পদে আসীন হবার পর থেকে তিনি অতি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি নঁওগা-১ থেকে পর পর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে জনকল্যাণের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন সব উপজেলার খাদ্যনিয়ন্ত্রকরা পাবেন মোটরসাইকেল।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, পর্যায়ক্রমে সব উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে মোটরসাইকেল দেওয়া হবে। তিনি বলেন, সরকারি ক্রয়, ওএমএস কার্যক্রম এবং অবৈধ মজুদ তদারকি করা সহজ হবে।
সোমবার (২২ আগস্ট) সকালে রাজধানীর খাদ্য ভবনের সভাকক্ষে মাঠ পর্যায়ের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের পক্ষে মোটরসাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার সময়ে খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তাদের সক্ষমতা দেখিয়েছেন।
তখন মানুষের খাবারের অভাব ছিল না। ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিশুদ্ধতা পুরস্কারও পেয়েছে। এই মহান অর্জনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে এমন কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত নয় যাকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজন নেই। এই কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ দ্বিগুণ করা হয়েছে। সরকারি কর্মসূচিতে কেউ যাতে অনিয়ম করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা যাচাইয়ে নজর দিতে হবে।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন, অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন ও পরিচালক (চলাচল ও সংরক্ষণ) মোঃ জামাল হোসেন বক্তব্য রাখেন। পরে মন্ত্রী সরকারি মোটরসাইকেল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
প্রসঙ্গত, কাজের ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধা বাড়লে কাজের প্রতি কর্মীদের আগ্রহ ও দায়িত্বশীলতাও বেড়ে যায়। সেই কথা মাথায় রেখেই খাদ্যমন্ত্রী সব উপজেলার খাদ্যনিয়ন্ত্রকদের জন্য মটরসাইকেলের ব্যবস্থা করেছেন। এতে করে কর্মীদের কাজের গতি আরো বেড়ে যাবে এবং সীমিত সময়ের মধ্যে কর্মীরা অনেক কাজ করতে পারবে।