সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা যথেষ্ট নয়। আমাদের মজুদ নিঃশেষ হয়ে গেছে। বৈদেশিক মুদ্রার সিংহভাগ ব্যয় হয় জ্বালানি কিনতে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট কতটা ঝুঁকিপুর্ন সেই বিষয়ে আয়োজিত এক সভায় ফাহমিদা খাতুন এই মন্তব্য করেন।
সিপিডি মনে করে যে দেশে বিরাজমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলি যথেষ্ট নয়। ধানমন্ডিতে সিপিডি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এর নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে অনেক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়। সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ: কতটা ঝুঁকিপূর্ণ? শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের উদ্দেশে ফাহমিদা বলেন, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারকে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্করণ, রাজস্ব আদায় ও অপরাধের প্রতি আরও বেশি নজর দিতে হবে। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, বর্তমান সংকট স্বল্পমেয়াদি নয়, মধ্যমেয়াদি সংকট। এভাবে চলতে থাকলে দেশ দীর্ঘমেয়াদি সংকটের দিকে যাবে। আইএমএস বলেছে যে ২০২৩ সালেও অর্থনৈতিক সংকট হতে পারে। শ্রীলঙ্কার অবস্থা সেখানে আরও খারাপ বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের অবস্থান কিছুটা ভালো হলেও সতর্ক থাকতে হবে। এ জন্য সরকারকে এখনই দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নিতে হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক এম তামিম বলেন, জ্বালানি বৃদ্ধির ফলে শুধু বিদ্যুৎ নয়, সব স্তরে প্রভাব পড়েছে। আমাদের প্রধান সমস্যা ছিল প্রাথমিক জ্বালানি না যাওয়া। এতদিন বলা হচ্ছিল, এখন এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তিন বছর বা পাঁচ বছরের জন্য রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাও চলছে, তাও ২৪ ঘণ্টা। এর ওপর নির্ভরশীলতা বেড়ে যাওয়ায় আরও সংকট তৈরি হয়েছে। খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, সিপিডির বিশেষ ফেলো এবং বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী।