বন্যায় প্রায় এক তৃতীয়াংশ পানির নিচে চলে গিয়েছিল। অনেক ঘরছাড়া হয়েছে এবং প্রয়াত হয়েছে বেশ কয়েকজন। এমত অবস্থায় দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে চলেছে। এমন অবস্থায় দেশের মানুষের পাশে না থেকে পদ থেকে পদত্যাগ করছেন অর্থমন্ত্রী। এমন ঘটনায় সারাদেশে তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার এক টুইট বার্তায় পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এক টুইট বার্তায় পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি মৌখিকভাবে অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। পাকিস্তানে পৌঁছে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করব।
মিফতাহ এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন এবং আগামী সপ্তাহের শুরুতে পাকিস্তানে ফিরবেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তানে পৌঁছে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করব।
মিফতাহ তার টুইটে উল্লেখ করেছেন যে দুইবার অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা গর্বের বিষয়।
পাকিস্তানের অর্থনীতি ক্রমাগত উত্তাল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আর সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যা সেই সংকটকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বন্যায় পাকিস্তানের আনুমানিক ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে এবং ১৫,০০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।
পাকিস্তানের এক তৃতীয়াংশ পানির নিচে তলিয়ে গেলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। তবে বাংলাদেশ দেওয়া ত্রান ফিরিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান সরকার। তারা এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল, তারা বহু বছর ভিক্ষার থালা হাতে নিয়ে ঘুরেছে তাই দেশের এমন পরিস্থিতিতে অন্য কারো কাছ থেকে সহয়তা চান না ।