পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ও বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম চলতি মাসের ৬ অক্টোবর দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। তবে মনিরুল নিজেই সে খবর অস্বীকার করেছেন। সোমবার (১৪ অক্টোবর) একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে মনিরুল ইসলাম বলেন, তিনি দেশে আছেন।রোববার রমনা এলাকায় নিজের সরকারি বাসার সামনে থেকেও ঘুরে এসেছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে ভারতে চলে গেছেন বলে সম্প্রতি যে আলোচনা চলছে, তার উত্তরে মনিরুল ইসলাম বলেছেন, পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যাওয়ায় কোথাও যেতে পারেননি তিনি, আছেন দেশেই। ৫ আগস্টের পর দেওয়া মামলার সুষ্ঠু তদন্ত হলে আত্মসমর্পণেও রাজি আছেন বলে জানিয়েছেন একসময়ের প্রভাবশালী এই পুলিশ কর্মকর্তা।
সাবেক এই কর্মকর্তা ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের ডিএমপি শাখায় কাজ করেছেন। ডিএমপির মুখপাত্র হওয়ায় মিডিয়ায় তিনি ছিলেন জনপ্রিয় মুখ। তিনি ২০২১ সালে এসবি শাখার প্রধান হন।
৫ আগস্ট ক্ষমতার পালা বদলের পর পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার হলেও আলোচিত কর্মকর্তাদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবস্থান জানান দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা। এরপর থেকে নিয়মিত ফেসবুকে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে তাকে।
সম্প্রতি তার কয়েকটি ছবি যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দাবি করা হয় ভারতের একটি দোকানে কেনাকাটা করছেন তিনি। এরপরই গণমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে দিল্লিতে চলে গেছেন পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে মনিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গতকাল (রোববার) রমনার বাসায় ঢুকতে পারিনি। রাস্তা থেকে শুধু দেখলাম। এ বাসায় অনেকদিন থাকছি। অথচ বাসাতে ঢুকতে পারলাম না।
দিল্লির ছবি প্রসঙ্গে মনিরুল ইসলাম বলেন, ২০২২ সালের মার্চে মালদ্বীপে গিয়েছিলাম, তারপর দুদিন দিল্লিতে ছিলাম।
দেশে থাকার দাবি করলেও কেন আত্মসমর্পণ করছেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে মনিরুল বলেন, আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করছে জঙ্গিরা। আমি যেকোনো মুহূর্তে গ্রেপ্তারর হতে পারি। এটা আমি ধারণা করছি। সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রফেশনাল তদন্তে সংশ্লিষ্টতা মিললে গ্রেপ্তার হতে রাজি আছি। আত্মসমর্পণ করারও চিন্তা করে দেখবো।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন দমনের নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ২৫ কোটি টাকা নিয়ে আসার অভিযোগ ছিল এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।