সরকার উন্নয়নের নামে যে মেগা প্রকল্পগুলো করছে সে গুলো থেকে বেশির ভাগই টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট করা হয়েছে। যার প্রমাণ আস্তে আস্তে প্রকাশ হচ্ছে। আর এসব অবৈধ্য টাকা বিদেশে পাচার হওয়ায় আজ অর্থনীতি হু/মকির মুখে পড়েছে। যার প্রভাবে রিজার্ভ সংকটের মুখে পড়েছে। অথচ সরকারে মন্ত্রী-এমপিরা মুখ দিয়ে উন্নয়নে ভাসিয়ে দিচ্ছে। বিদ্যুৎ সেক্টরে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে সেটি ঢাকতে সরকার নানা ধরনের নাটক সাজাচ্ছে কিন্তু তার সত্যটা ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মা/ধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য পাঠ/কদের জন্য সেটি হুবাহু তুলে ধরা হলো।
আমরা তো দেখেছি এই অবৈধ সরকার তদন্তকে ব্যবহার করেছে সরকার বিরোধীদের ঘায়েল করার জন্য। বিরোধী দলগুলির আন্দোলন যখন তীব্রতর হচ্ছে সেই মুহূর্তে বিরোধী নেতাকর্মীদের ফাসিয়ে দেওয়ার কাজে এই তদন্ত ব্যবহৃত হতে পারে বলে আমাদের আশঙ্কা।
এই সরকারের আমলে যতগুলো প্রকল্পই হয়েছে তার সবগুলোর উদ্দেশ্য ছিল চুরি। কাদার উপর পিচ ঢেলে রাস্তা বানানো কিংবা রডের বদলে বাঁশ দিয়ে ভবন এবং সেতু নির্মাণের শত শত কাহিনী মানুষের মুখে মুখে ফেরে। আর বিদ্যুৎ সেক্টর হচ্ছে চুরির সবচেয়ে বড় আখাড়া। যারা বিদ্যুতের বিভিন্ন প্রকল্প নির্মাণ করেছে – যাদের মধ্যে সরকারের শীর্ষতম পর্যায়ের লোকজনও আছে – চুরির টাকা তারা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে অনেক আগেই। ফলে এসব প্রকল্প চলল বা না চলল সেটা নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই। এসব তদন্তে তাদের কথা আসবেও না।
উন্নয়নের ছদ্মাবরনে এই সরকারের সকল প্রকল্পের অবস্থা আগামীতে এই বিদ্যুৎ সেক্টরের মতোই হবে। কারণ এ প্রকল্প গুলোর সর্ব প্রধান প্রেরণা ছিল চুরি। অনাগত দিনগুলিতে আমরা দেখতে পাবো এসব প্রকল্প ধ্বসে পড়ছে। অনেকটা মানুষের শরীরের মাল্টিপল অর্গান ফেইলিওরের মত। এই বিশাল বিদ্যুৎ বিপর্যয় তারই একটি পূর্বাভাস।
প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে জন্য যারা দায়ী সরকার তাদের তথ্য কখনো প্রকাশ করবে কারন তাহলে মূল রসহ্য বেরিয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেন পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি সরকার বুঝতে পেরেছে তাদের কোনো উপায় নাই সে কারনে বিভিন্ন ইস্যু মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করছে।