বাংলাদেশের ফুটবল কে একটি ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা। তবে তাদের সবার পারিবারিক আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। তার মধ্যে রয়েছে রুপনার পরিবারের আর্থীত অবস্থা। তার পরিবারকে দেখে ব্যারিস্টার সুমন এর মধ্যে মায়ার সৃষ্টি হয় এবং তাকে একটি বাড়ি করে দেবেন বলে সংবাদমাধ্যমে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন তিনি।
এ বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে ব্যারিস্টার সুমন বলেন সব হিসাব পাল্টে প্রথমবারের মতো সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ষষ্ঠ আসরে শিরোপা জিতে বাংলাদেশের মেয়েরা সেরা হয়েছেন। আর পুরো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের গোলপোস্টের সামনে চীনের প্রাচীর ছিলেন রূপনা চাকমা। তাকে মাত্র একবার পরাজিত হতে হয়েছে।
কিন্তু এই রূপনা চাকমার নিজের ঘর সামান্য বৃষ্টি থেকেও তাদের রক্ষা করতে পারে না। ব্যারিস্টার সুমন রুপনা চাকমার বাড়ির ছবি দেখে হতবাক হয়ে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার ঘোষণা দেন।
এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রূপনা মায়ের ছবি দেখেছি। একটা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ওই বাড়িটি মানুষের বসবাসের জন্য একেবারেই অনুপযোগী। রুপানা আমাদের বোন। আমি আমার একাডেমির সব খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী সপ্তাহে তাকে একটি বাড়ি তৈরি করব।
তিনি আরও বলেন, সাফল্যের পর আমরা সবাই তার পাশে দাঁড়াই। আমি এই ক্ষেত্রে একই কাজ করছি। এর জন্য আমি সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
দেশের ফুটবলের উন্নয়নে সকল বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশের পুরুষ ফুটবলারের থেকে নারী ফুটবলারেরা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। প্রথমদিকে তাদেরকে মানুষ নানা সমালোচনার চোখে দেখলেও বর্তমানে সমস্ত সমালোচনা নিজেদের যোগ্যতা দিয়ে বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছেন তারা। তাদের এই জয় যেন সারা বাংলাদেশের মানুষের জয়। সমালোচনা ছেড়ে সারা বাংলাদেশের মানুষ এখন তাদের প্রশংসায় মেতে উঠেছে। বিভিন্নভাবে তাদের অভিনন্দন জানিয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফুটবলপ্রেমী দর্শকেরা।