ভোটকেন্দ্রে দুই ব্যক্তি প্রকাশ্যে সিল ও ব্যালট বাক্স ভর্তি করছেন। এমন একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
ভিডিওটি গত রোববার নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে পটুয়াখালী-১ আসনের দুমকির একটি ভোটকেন্দ্রের বলে জানা গেছে।
ওই দিন বিকেল থেকেই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে ৭ মিনিটের ভিডিওটি। দুমকি উপজেলার ২২ নম্বর জামলা গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের ১ নম্বর বুথে (পুরুষ) সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের সামনে ব্যালট পেপারে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করতে দেখা যায়।
সিল মারায় অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি হলেন— মো. জসীম সিকদার, তিনি মশাল প্রতীকের এজেন্ট হিসেবে ওই বুথে ছিলেন। এছাড়া অপরজন মো. আবুল বাশার ডাক্তার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হাবিবুর রহমান ভোটকেন্দ্রের একটি কক্ষে চেয়ারে বসে আছেন। তার সামনেই মো. জসীম সিকদার (কালো ব্লেজার পরা) ব্যালটের মুড়ি নিয়ে গোপনকক্ষে চলে যান এবং সেখানে বসে অনবরত ব্যালট পেপারে টিপসই দিয়ে আবার চলে এসে ওই পেপারেই সিল মারতে থাকেন। এ ছাড়া তার সামনেই আবুল বাশার (পাঞ্জাবি পরা) ব্যালট পেপার ভাঁজ করে বাক্সে ভরছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবুল বাশার ডাক্তার বলেন, আমি লাঙ্গল এজেন্ট ছিলাম, কিন্তু জসিম মশালের কর্মী। আমার কাছে হেল্প চাইছে, পরে আমি গিয়ে কয়েকটা পেপার ভাঁজ করে বাক্সে ভরছি।
আসামি জসিম শিকদার বলেন, আমি শুধু ভোট দিয়েছি। এটা সম্পূর্ণ ভুয়া ভিডিও।
ভোটকেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, আমি প্রিজাইডিং অফিসারকে কিছু লোক জাল ভোট দেওয়ার কথা বললে তিনি বলেন, আপনি আপনার জায়গায় বসে থাকেন, তাদের কাজ তারা করুক। এমন পরিস্থিতির কারণে আমি ব্যালট দিতে বাধ্য হয়েছি।
ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আ. ছাত্তার বলেন, এমন ঘটনা ঘটেছে শুনেছি, কিন্তু ওই সময় নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম। ওই সময় কোনো নামাজের সময় ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা নূর কুতুবুল আলম বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই এবং কেউ আমাকে লিখিত অভিযোগও দেয়নি। অভিযোগ পেলে সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।