Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / দেরি সইলোনা বুয়েটের ভিসির, সবার সামনেই বলে ফেললেন, এখন জনগনের প্রতুত্ত্যরের অপেক্ষা

দেরি সইলোনা বুয়েটের ভিসির, সবার সামনেই বলে ফেললেন, এখন জনগনের প্রতুত্ত্যরের অপেক্ষা

একজন উপাচার্য তার এই পদে অভিষিক্ত হবার পূর্বে আরো অনেক পদে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। আর তেমনটি করেছেন (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার। তিনি প্রসাশনিক অনেক দায়িত্বে নিযুক্ত ছিলেন। ইইউ বিভাগের প্রধান ছিলেন তিনি এবং তাছাড়া ছিলেন বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন ঢাকার উন্নয়ন সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। স্বপ্না পদ্মা সেতু নির্মাণে ভারসাম্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ভূমিকার সুবাদে সেতুটি বাস্তবে রূপ নিয়েছে।

বুয়েটের উপাচার্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চ্যালেঞ্জ নিয়ে সবকিছু করছেন। চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সাহসী ভূমিকার কারণেই আজ পদ্মা সেতু রূপ নিয়েছে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যাবে। ঢাকায় যে উন্নয়ন হচ্ছে তা ছাড়িয়ে যাবে সিঙ্গাপুরকেও। এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বুয়েট সবসময় অবদান রাখবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বুধবার (২২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল ভবনে আয়োজিত ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে বুয়েটের ভূমিকা’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ অধিদপ্তর।

বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল জব্বার খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও একুশে পদক বিজয়ী সাংবাদিক অজয় ​​দাশগুপ্ত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুল জব্বার খান বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। পদ্মা সেতু নির্মাণে ১,২০০ প্রকৌশলী এবং ২০,০০০ কর্মচারী কাজ করেছেন। এই সেতু আমাদের সাহসের প্রতীক।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা জাতিগতভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম। ৭০-এর নির্বাচনে আমি জাতিগতভাবে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। পদ্মা সেতু জাতিগত ঐক্যের মঞ্চ। পদ্মা সেতু নিয়ে দেশের ৭২ শতাংশের বেশি মানুষ বসবাস করবে। পদ্মা সেতু আমাদের মন ও চিন্তার সেতুবন্ধন করবে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন টর্নেডো ছাড়া আর কোনো বাধা মানুষের চলাচল বন্ধ করতে পারবে না।

আলোচকরা পদ্মা সেতু নির্মাণে অবদান রাখা বুয়েটের প্রকৌশলীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীকে তার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং নিজ উদ্যোগে পদ্মা সেতু নির্মাণের সাহসী সিদ্ধান্তের জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানানো হয়। ২০১৪ সালে শুরু হওয়া মধুর যাত্রা ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় বক্তারা পদ্মা সেতু নির্মাণের বিষয়ে বুয়েটের পুরকৌশল প্রফেসর ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক ড. এম এম শফি উল্লাহ, অধ্যাপক ড. আলমগীর মুজিবুল হক, অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাতসহ অন্যান্য বুয়েটিয়ানদের অবদানের কথা উল্লেখ করেছেন। আলোচনা শেষে রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীসহ ১৫ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

প্রসঙ্গত, বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ দেশের সার্বিক উন্নয়নে অপরিসীম ভূমিকা পালন করছে। দেশে যে পরিমাণ উন্নয়ন হচ্ছে তা সারা বিশ্বের নজির হয়ে থাকবে চিরকাল। এমন উন্নয়নের কথা বাংলার মানুষ কোনোদিন ভুলতে পারবেনা। উন্নয়নে ছেঁয়ে গেছে দেশ। দেশ ও মানুষের কথা মাথায় রেখে শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিচ্ছেন।

About Shafique Hasan

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *